রাজ্যজুড়ে শুরু ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন, জানুন ‘আসল’ বিএলও চেনার উপায়

রাজ্যজুড়ে শুরু ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন, জানুন ‘আসল’ বিএলও চেনার উপায়

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



রাজ্য – পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ (SIR)। নির্বাচন কমিশনের (ECI) নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের প্রতিটি বুথে বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য যাচাই করবেন। নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা, ঠিকানা সংশোধন এবং মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাঁদের ওপরই বর্তাবে।

তবে প্রশ্ন উঠছে— সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন, যিনি তাঁদের বাড়িতে তথ্য যাচাই করতে আসছেন, তিনিই ‘আসল’ বুথ লেভেল অফিসার? ভোটারদের এই বিভ্রান্তি দূর করতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে।

‘আসল’ বিএলও চিনবেন কীভাবে?
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রকৃত বিএলওকে চেনার তিনটি নির্দিষ্ট চিহ্ন থাকবে—

প্রথমত, সরকারি পরিচয়পত্র — কমিশনের প্রদত্ত আইডি কার্ড থাকবে, যাতে কিউআর কোড যুক্ত থাকবে। সেটি স্ক্যান করলে দেখা যাবে অফিসারের নাম, ফোন নম্বর এবং সংশ্লিষ্ট বুথের তথ্য।

দ্বিতীয়ত, এসআইআর কিট ব্যাগ ও নথিপত্র — প্রত্যেক বিএলও-র হাতে থাকবে বিশেষ কিট ব্যাগ, ছাপানো এনুমারেশন ফর্ম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি।

তৃতীয়ত, সরকারি টুপি — কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া বিশেষ ক্যাপ পরে থাকবেন তাঁরা।

পাশাপাশি, ভোটাররা চাইলে কমিশনের অফিসিয়াল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকেও নিজের এলাকার বিএলও সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করতে পারবেন। সেখানেই রয়েছে ‘Book a Call with BLO’ এবং ‘Connect with Election Officials’ — এই দুটি বিকল্পের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগের সুবিধা।

কতজন বিএলও কাজ করবেন রাজ্যে?
রাজ্যজুড়ে মোট ৮০ হাজার ৬৮১ জন বুথ লেভেল অফিসার মাঠে নামছেন। তাঁদের সহায়তায় থাকবেন আরও ১৪ হাজার অতিরিক্ত কর্মী। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের হাতে পৌঁছবে প্রায় ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ফর্ম— যার দ্বিগুণ সংখ্যায় ফর্ম ইতিমধ্যেই ছাপানো হয়েছে।

৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি বিএলও তাঁদের নির্দিষ্ট এলাকায় অন্তত একাধিকবার যাবেন তথ্য যাচাইয়ের জন্য। ভোটাররা যদি সেই সময় বাড়িতে না থাকেন, তবে তিন থেকে চারবার পর্যন্ত পুনরায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন তাঁরা।

কমিশনের স্পষ্ট বার্তা, এসআইআর চলাকালীন কোনও সন্দেহ দেখা দিলে ভোটাররা অফিসারের পরিচয় মিলিয়ে নেবেন, এবং ভুয়ো ব্যক্তির দেখা মিললে সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন। গণতন্ত্রের ভিত্তি যে সঠিক ভোটার তালিকা— সেই দায়িত্ব রক্ষায় সজাগ থাকাই এখন প্রধান লক্ষ্য।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top