রাজ্যসভা থেকে অবসরগ্রহণ ৭২ জন সদস্যের-বিদায়বেলায় রইল প্রধানমন্ত্রীর তরফে রাজকীয় আয়োজন। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভা থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন ৭২জন সদস্য।তাদের বিদায়ের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যসভায় বলেন, “আমাদের রাজ্যসভার সদস্যদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। কখনও কখনও অভিজ্ঞতা একাডেমিক জ্ঞানের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
আমি অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের ‘ফিরে আসতে’ বলব।”সূত্রের খবর,,তাদের সম্মানে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার সমস্ত সদস্যদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবনে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে ৭২ জন অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং আরও ১৯ জন যারা আগে অবসর নিয়েছিলেন তারা উপস্থিত হন।যারা স্মারক গ্রহণ করতে পারেননি তাদের স্মারক উপহার দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে,রাজ্যসভা সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন যে, “এই জাতীয় অনুষ্ঠানে ২০ বছরের ব্যবধানে হাউসের সদস্যরা তাদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা প্রদর্শন করবে।” জানা গেছে,এই অবসরগ্রহণের তালিকায় নাম আছে,এপ্রিলে অবসর নেওয়া সদস্যদের মধ্যে- কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার আনন্দ শর্মা, এ কে অ্যান্টনি, সুব্রহ্মণ্য স্বামী, এমসি মেরি কম এবং স্বপন দাশগুপ্ত এবং নির্মলা সীতারামন, সুরেশ প্রভু, এম জে আকবর, জয়রাম রমেশ, বিবেক টাঙ্কা, ভি বিজয়সাই রেড্ডি।
এছাড়া,জুলাইয়ে অবসর নেওয়া সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন পীযূষ গোয়াল, মুক্তার আব্বাস নকভি, পি চিদাম্বরম, অম্বিকা সোনি, কপিল সিবাল, সতীশ চন্দ্র মিশ্র, সঞ্জয় রাউত, প্রফুল প্যাটেল এবং কে জে আলফোনস। যদিও কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতাদের শাসক দল পুনরায় মনোনীত করবে বলেও জানা গেছে।এদিকে,কংগ্রেস সদস্যদের পুনঃ মনোনীত করার বিষয়ে কোনও স্পষ্টতা নেই। এদের মধ্যে আছে কিছু G-23-এর সদস্য,যারা দলের নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন বলেও জানা গেছে।
এদিন,প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ৭২জনের বিদায়ে শ্রদ্ধাবনত হয়ে নিজের বক্তব্য রাখেন।তিনি বলেন, “অভিজ্ঞতা থেকে যা পাওয়া গিয়েছে তাতে সমস্যা সমাধানের সহজ সমাধান রয়েছে। অভিজ্ঞতার মিশ্রণ থাকায় ভুলগুলো কম করা হয়। অভিজ্ঞতার নিজস্ব গুরুত্ব আছে। এমন অভিজ্ঞ সাথীরা যখন ঘর ছেড়ে চলে যায় তখন ঘরের, জাতির বড় ক্ষতি হয়ে যায়।”সূত্রের খবরে, আরো জানা গেছে নৈশভোজে, প্রায় ছয়জন রাজ্যসভার সদস্য তাদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা প্রদর্শন করেন।
সেখানে টিএমসির সান্তনু সেন গিটার বাজান তার দলের সহকর্মী দোলা সেন রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন।এছাড়াও, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা একটি তামিল গান এবং বিজেপির রূপা গাঙ্গুলী একটি হিন্দি গান গেয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও,এই বিশেষ অনুষ্ঠানে রামচন্দ্র ঝাংরা একটি দেশাত্মবোধক এবং এনসিপি-র বন্দনা চ্যাবন একটি হিন্দি গান গেয়েছেন বলে জানা গেছে।এছাড়াও,একটি কোরাস পারফরম্যান্সের কথাও জানা যায়।অন্যদিকে,প্রধানমন্ত্রী এই ৭২ জনের বিদায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “আজকে যারা বিদায় নিতে যাচ্ছেন তাদের কাছ থেকে আমরা সবাই যা শিখেছি।
আজ, আসুন আমরাও সংকল্প করি যে আমরা অবশ্যই এই বাড়ির পবিত্র স্থানটিকে তাদের মধ্যে থেকে সর্বোত্তম এবং সর্বোত্তমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করব। যা দেশের সমৃদ্ধিতে কাজে লাগবে।” এরপর ও না থেমে রাজ্যসভার সাংসদদের বিদায়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী আরো বলেন, “এটি স্বাধীনতার অমৃত উত্সব। আমাদের মহাপুরুষরা দেশের জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন, এখন দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। এখন আপনি খোলা মন নিয়ে একটি বড় প্ল্যাটফর্মে গিয়ে স্বাধীনতার অমৃত উত্সবের উত্সবকে অনুপ্রাণিত করতে অবদান রাখতে পারেন।”