রাজ্য – রাজ্যে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে একাদশ–দ্বাদশ নিয়োগের নথি যাচাইয়ের কাজ। এর মধ্যেই বুধবার থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিভাবকত্ব ও নির্দেশে এই বছরের মধ্যেই প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক–শিক্ষিকার স্বচ্ছ নিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে শিক্ষা দফতর আশাবাদী। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, বুধবার থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাদের অনলাইন পোর্টাল খুলছে, যেখানে টেট উত্তীর্ণ যোগ্য প্রার্থীরা সরকার অনুমোদিত ও সরকার পৃষ্ঠপোষক প্রাথমিক ও জুনিয়র বেসিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর প্রজ্ঞা ও পথনির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষার ভিতকে আরও সুদৃঢ় করবে।
অন্যদিকে, একাদশ–দ্বাদশে প্রথম পর্যায়ের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে নিয়োগের মধ্যেই একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে হাই কোর্টে। অভিযোগকারীদের পুরোভাগে রয়েছেন বাম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ফিরদৌস শামিম। মামলার মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে কমিশন নথি যাচাইয়ের কাজও শুরু করে দিয়েছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নবম–দশম স্তরে শূন্যপদ রয়েছে ২৩ হাজার ২১২টি, একাদশ–দ্বাদশে ১২ হাজার ৫১৪টি, আর প্রাথমিক স্তরে ১৩ হাজার ৪২১টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। অপরদিকে আপার প্রাইমারিতে ১২ হাজার ৭০০ জনকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল, যার মধ্যে দশ হাজারের বেশি নিয়োগ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এই সংখ্যা ৫০ হাজারের বাইরে। সব মিলিয়ে এই বছর রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়াতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। পাশাপাশি শূন্যপদ আরও বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের আবেদন সম্পূর্ণ অনলাইনেই করতে হবে, যার জন্য একটি পৃথক পোর্টাল চালু করবে পর্ষদ।




















