হুগলি – রাজ্যে এই মুহূর্তে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও কার্যকরী চিকিৎসা হল টেলিমেডিসিন। সেই পরিষেবাকে আরও প্রসারিত করতে রাজ্যজুড়ে নতুন ৭৪৪টি ওয়েলনেস সেন্টার তৈরির অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র বা ওয়েলনেস সেন্টারে উন্নীত করতে ৫২কোটি ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।রাজ্যজুড়ে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ করতে নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। ২৫মে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর ওই নির্দেশিকা জারি করে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি ওয়েলনেস সেন্টারের প্রাথমিক পরিকাঠামো আছে। তাতে টেলিমেডিসিন সহ উন্নত পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। তার জন্য প্রতিটি সেন্টার পিছু ৭লক্ষ টাকা করে খরচ ধার্য হয়েছে।
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্যারামেডিক্যাল কর্মী সংগঠনের রাজ্য নেতা মনোজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘ওয়েলনেস সেন্টার ইতিমধ্যে গ্রামীণ এলাকার মানুষের কাছে চিকিৎসার বড় ভরসা হয়ে উঠেছে। টেলিমেডিসিনের মতো আধুনিক পরিষেবা তাঁরা ঘরের কাছেই পাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ মিলে যাচ্ছে সহজেই। আমরা রাজ্য সরকারের দূরদর্শী উদ্যোগের প্রশংসা করছি।’ সেই সঙ্গে দ্রুত এই আধুনিকীকরণের কাজ শেষ করার দাবি রেখেছেন তিনি। হুগলি জেলা পরিষদের মেন্টর সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগান্তর এনেছে। হুগলিতে দফায় দফায় ওয়েলনেস সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এবারও রাজ্য সরকার প্রায় ৭০টি নতুন কেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে। পরিকাঠামো দ্রুত তৈরি করে ফেলব আমরা।’স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশিকা অনুসারে, রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওয়েলনেস সেন্টার হবে মুর্শিদাবাদে। সেখানে ১৭৫টি কেন্দ্র তৈরি হবে। দ্বিতীয় স্থানে আছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। সেখানে ১০৭টি নতুন কেন্দ্র তৈরি হবে। এছাড়া, মালদহে নতুন ৯২টি, হুগলিতে ৭৬টি এবং উত্তর দিনাজপুরে ৬৪টি ওয়েলনেস সেন্টার করা হবে। পুরুলিয়াতে ৪৯টি, বাঁকুড়াতে ৪৬টি ওয়েলনেস সেন্টার তৈরির নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলায় সবচেয়ে কম, মাত্র একটি ওয়েলনেস সেন্টারের অনুমোদন মিলেছে। তবে রাজ্যের কোনও জেলাই ওয়েলনেস সেন্টারের অনুমোদন পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উন্নীত করার কাজ চলছে। গ্রামবাংলার নাগরিকদের বক্তব্য, এগুলির মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ মেলায় অনেকটা সুবিধা হচ্ছে। সেই পরিষেবাকেই আরও প্রসারিত করতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার।
