রাজ্যে প্রথম তৈরি হল লটারি বিক্রেতাদের সংগঠন। রাজ্যে প্রথম তৈরি হল লটারি বিক্রেতাদের সংগঠন। লটারি বিক্রেতাদের কমিশন কমিয়ে দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় লটারির বিক্রি বন্ধ রেখেছেন বিক্রেতারা। এবার তারা আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এই কারণেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির অধীনে লটারি বিক্রেতাদের সংগঠন তৈরি হলো।
রাজ্যের লটারি বিক্রেতাদের কোন সংগঠন এতদিন ছিল না বলে দাবি তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বের। এই প্রথম জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি থেকেই লটারি বিক্রেতাদের সংগঠনের পথচলা শুরু হলো। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা আইএনটিটিইউএসসির সভাপতি রাজেশ লাকড়া ও ধূপগুড়ি টাউন ব্লক আইএনটিটিসির সভাপতি আলম রহমানের উপস্থিতিতে ২৫০ জন লটারি বিক্রেতা এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। আগামীতে জেলা জুড়ে ৩০০০ জন লটারি বিক্রেতা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিন স্বপন দাস নামের এক লটারি বিক্রেতা জানিয়েছেন, দিনভর ঘুরে ঘুরে তারা লটারি টিকিট বিক্রি করেন, টিকিট বিক্রির যে লাভ হয় এবং পুরস্কারের যে কমিশন এই দিয়েই তাদের সংসার চলে। তবে তাদের কমিশন সাম্প্রতিককালে অর্ধেকের থেকেও কম করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের লটারি বিক্রি করে সংসার চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা এই মুহূর্তে লটারি বিক্রি ছাড়া অন্য কোন কাজ করতে পারেন না। আর এই কারণেই তারা আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের দাবি তাদের কমিশন আগের জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন- পেনশন না পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন পেনশন প্রাপকরা
এতদিন তাদের কোন সংগঠন ছিল না আর এই কারণেই লটারি বিক্রেতারা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের আওতাধীন হলেন। ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা আইএনটিটিউসির সভাপতি রাজেশ লাকরা বলেন, লটারি বিক্রেতাদের সমস্যায় দল তাদের পাশে রয়েছে। আর এই কারণেই এইসব লটারি বিক্রেতাদের একত্রিত করতে তাদের একটি সংগঠনের নিচে আনা হলো। তাদের মধ্য থেকে একটি কমিটি তৈরি করা দেওয়া হবে। এমনকি আগামী দিনে প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করা হবে।