“রাজ্য সরকার আইন শৃংখলা রক্ষায় ব্যর্থ”-কটাক্ষ হানলেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ এর দাবীতে এবার সরব হলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কারণ,তার মতে,”রাজ্য সরকার আইন শৃংখলা রক্ষায় ব্যর্থ। সূত্রের খবর, বালুরঘাটের এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “প্রায় প্রতিদিন রাজ্যের কোথাও না কোথাও মহিলা থেকে নাবালিকা থেকে শিশুরা ধর্ষিত হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ সে ভাবে কাউকেই রক্ষা করতে তো পারছেই না।
উলটে যাদের এসব ঘটনায় গ্রেফতার করছে তাদের বিরুদ্ধে জোরালো আইনি ধারা প্রয়োগ না করায় দোষীরা খালাস পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এই রাজ্যে মহিলাদের মধ্যে একটা ভয়ের পরিবেশ দেখা দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।” এরপরই তার কথায় উঠে আসে হাঁসখালির ঘটনা।এ নিয়ে তিনি বলেন,”হাঁসখালি ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যা থেকে পরিষ্কার পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার কারণ এই ঘটনার পেছনে তৃণমূল ছেলের নাম উঠে এসেছে। তার দাবি রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।
মানুষই তা বুঝতে পারছে। কেন্দ্রকে এবার রাজ্যের দায়িত্বভার বুঝে নেওয়া উচিত।” কিন্তু এরপরেই আবার তিনি এসএসসি দুর্নীতি নিয়েও বক্তব্য রাখেন।প্রতিবাদ জানিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিধায়কের নির্দেশে প্যাডে লিখে রোল নাম্বার লিখে নিয়োগ হয়েছে।আদালতের নির্দেশে সি বি আই তদন্ত করে এর মূল কিংপিনকে ধরবে। ”
এরপর আবার ডিজেল ও পেট্রলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি।তবে তা খানিকটা নরম সুরে।এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” যুদ্ধ থেমে গেলে পরে পেট্রোপণ্যের দাম এর স্বাভাবিক হবে।”
তারপরই ফিরে যান পাহাড়ের জিটিএ নির্বাচন না গুরুং এর পলিটিক্যাল সমস্যার সমাধান সংক্রান্ত বিষয়ে।এ প্রসংগে রাজ্য বিজেপির সভাপতি জানান,” পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রয়োজন।” এছাড়াও, সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন যে তারা এই নিয়ে বৈঠক করবেন খুব শীঘ্রই।এছাড়া,মালদায় তৃণমূল কর্মী খুন প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য,”কারো মৃত্যুই কাম্য নয়। সেটা যে দলেরই হোক।”কিন্তু,এতগুলি বিষয়ের শেষেও মংগলবার উপনির্বাচনের বিষয়টি সম্পর্কে বলতে তিনি ভোলেন নি।এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির আশা-“ভালো ফল হবে।”তবে শাসকদলের দিকে ইংগিত করে তিনি এও বলেন যে,”শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য নির্বাচন কমিশন চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হবে তা বলা মুশকিল।”