রাতের অন্ধকারে বাগান দাপিয়ে হাতি তাড়াচ্ছে মস্তান

রাতের অন্ধকারে বাগান দাপিয়ে হাতি তাড়াচ্ছে মস্তান

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

রাতের অন্ধকারে বাগান দাপিয়ে হাতি তাড়াচ্ছে মস্তান। মস্তান শব্দটি ঘিরে একটা বিরক্তি লুকিয়ে আছে সমাজে, এই নামে যারাই অভিভূত হয় তারা খুব একটা গ্রহণীয় হয় না কারোর কাছেই ধ্রুব এই সত্য কিন্তু মিথ্যে প্রমাণিত ডুয়ার্সের এক যান্ত্রিক যানএর জন্য। এই মস্তান একদিকে ত্রাতার ভূমিকায় অন্যদিকে বুনোদের কাছে ত্রাস। বহুল চর্চিত এই যানটি একটি ট্রাক্টর, আবাদি জমি চাষের জন্য সাধারণত ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টর আপাতত ব্যাস্ত হাতি তাড়াতে, রক্ষাকর্তা ট্রাক্টরটির নাম গ্রামবাসীরা দিয়েছেন মস্তান।

রাতের অন্ধকারে ডুয়ার্সের চা – বাগানগুলোর শ্রমিকদের ত্রাস বুনো হাতি। আর সেই বুনোদের ত্রাস হয়ে উঠেছে “মস্তান”!
বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা চা- বাগানের শ্রমিকদের এখন বড় ভরসা এই “মাস্তান”।সাধারণত চাষবাষের কাজে লাগে ট্রাক্টর। পাশাপাশি, পেছনে ডালা লাগিয়ে বাগান থেকে তোলা চা- পাতা বহন করে কারখানা অবধি পৌছে দেওয়ার জন্যও ট্রাক্টর ব্যবহার হয় চা- বাগানে।

 

কিন্তু গয়েরকাটা চা- বাগানে একটি ট্রাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে হাতি তাড়াতে, জোরালো আলো লাগিয়ে চালকের ইশারাতে লোকালয়ে চলে আসা বুনোদের তাড়াতে সে রপ্ত হয়ে উঠেছে, তাই এলাকায় হাতি এলেই ডাক পরে মস্তানের

উল্লেখ্য, ডুয়ার্সের বনাঞ্চল লাগোয়া চা- বাগানগুলির শ্রমিক মহল্লায় হাতির হামলা নিত্যদিনের ব্যাপার। হাতির হানায় বাড়িঘরের ক্ষতি তো হয়ই। পাশাপাশি, প্রানহানির ঘটনাও ঘটে থাকে।গয়েরকাটা চা বাগানও তার ব্যতিক্রম নয়।

 

হাতি আসুক কি না আসুক, সারা রাত বাগানের প্রতিটা লাইনে টহল দেয় মস্তান। আর তার গরঘর গরঘর আওয়াজে যেন লেজ তুলে পালিয়ে বাঁচে হাতির দল।

রাতের বেলায় মুঠো ফোনের রিংটোনটা বাজলেই তৎক্ষনাৎ সজাগ হয়ে যায় মস্তানের সারথি। শুধু যেন শোনার অপেক্ষা ঠিক কোথায় বেরিয়েছে হাতি, সাথে সাথে দমকল বাহিনীর তৎপরতার মতই মস্তানকে নিয়ে সে জায়গায় উপস্থিত হয় বাগানবাসীর ভগবান কৃষ্ণ রূপের কৃষ্ণা ইন্দোহার, মস্তানের চালক।
বাগানের শ্রমিক নেতা বিরাজ লাকরা জানান, বন-কর্মীরা আসুক চায় না আসুক। রাতের অন্ধকারে মস্তান আসলেই বাগানের শ্রমিকরা নিশ্চিত।

আরও পড়ুন – উত্তরের ফিল্মসিটি নিয়ে আশার ইঙ্গিত মিমি চক্রবর্তীর

মস্তানের চালক কৃষ্ণা ইন্দোহার জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে বাগানের ১১টি মহল্লায় মস্তানকে নিয়ে টহল দেন তিনি সহ আরও দু-জন। কোথাও হাতি বেরিয়েছে খবর আসলেই সে এলাকায় ছুট লাগায় মস্তান। অস্ত্র বলতে তাদের হাতে থাকে বড় বড় জোরালো আলোর টর্চ লাইট। রাতের নিস্তব্ধতায় ধেয়ে আসা মস্তান আর তার বিকট আওয়াজে লেজ তুলে দৌড় লাগায় হাতির দল। তিনি আরও বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষই ব্যবস্থা করেছে হাতি তাড়াতে এই অভিনব পদ্ধতি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top