রাফাল স্কোয়াড্রনের জন্য গর্বিত কালচিনির হাসিমারা সহ ১০ টি গ্রামের মানুষ। দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে শ্রবণ ইন্দ্রিয় বিপন্ন করেও রাফাল স্কোয়াড্রনের জন্য গর্বিত কালচিনি ব্লকের হাসিমারা সহ ১০ টি গ্রামের মানুষ।চীনা লালফৌজের সাথে অরুনাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে চীন ভারত সংঘর্ষের জেরে হাসিমারা বায়ূসেনার তরফে প্রতি মূহুর্তে রাফাল সহ মিগ বিমানের মহড়া চলছে।
ভারতের দ্বিতীয় রাফাল স্কোয়াড্রনের লাগাতার মহড়ার দাপটে হাসিমারা বায়ূসেনা ছাউনির সংলগ্ন লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে কানে কম শোনার প্রবণতা শুরু হয়েছে ।যদিও কানে কম শোনার প্রবণতাকে তোয়াক্কা না করে দেশের দ্বিতীয় এই রাফাল স্কোয়াড্রনের জন্য গর্বিত স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
১৯৬৩ সালে ভারত-ভুটান সীমান্তের কালচিনি ব্লকের হাসিমারায় এই বায়ুসেনা ছাউনি তৈরি করা হয়।দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরিভাষায় হাসিমারা এই সেনা ছাউনিটি ‘Guardian of sikkim Valley’ নামে পরিচিত।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন আগে এই সেনা ছাউনিতে মিগ বিমান রাখা হতো।বর্তমানে এখন হাসিমারা এই সেনা ছাউনিতে রয়েছে রাফাল স্কোয়াড্রেন।মিগ বিমানের থেকে রাফাল যুদ্ধ বিমানের শব্দ অনেক বেশি।ফলে রাফালের শব্দে এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কানে কম শোনেন।এমনকি এলাকার অনেক শিশুই জন্মের পরেই বধির হয়ে যাচ্ছে।এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক পদম লামা বলেন এই সেনা ছাউনি আমাদের প্রতিবেশী দেশের হাত থেকে রক্ষা করে তাই আমরা এই সেনা ছাউনির জন্য গর্বিত। আমাদের গর্বের আরো কারণ হলো দেশের দ্বিতীয় রাফাল স্কোয়াড্রন রয়েছে আমাদের এই সেনা ছাউনিতে।
১৯৬৩ সালে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক যখন এই ছাউনি তৈরি করে তখন এলাকার জনবসতির ঘনত্ব ছিল খুবই কম।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই এলাকায় মানুষের ঘন জনবসতি গড়ে ওঠে এই সেনা ছাউনিকে কেন্দ্র করে।
যদিও এতদিন ধরে মিগ বিমানের মহড়াতে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে কানে কম শোনার প্রবণতার সমস্যা খুব একটা গভীর ছিল না।তবে রাফাল স্কোয়াড্রন আসার পরেই এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
হাসিমারা বায়ূ সেনা ছাউনিতে রাফাল স্কোয়াড্রন আসার আগে রাফালের রানওয়ে তৈরির জন্য এই বিমান ঘাঁটিতে দুই বছর মিগ বিমান ওঠা নামা বন্ধ ছিল।কিন্তু এই সেনা ছাউনিতে রাফাল স্কোয়াড্রন এসে পৌঁছাতেই কানের সমস্যা শুরু।
আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডঃ সৌম্যজিৎ দত্ত জানিয়েছেন ঘনঘন প্রবল শব্দে মানুষের কানের সমস্যা হয়।তবে হাসিমারা সেনা ছাউনি সংলগ্ন এলাকায় এই সমস্যা দির্ঘদিনের।
কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামা বলেন ছোটবেলা থেকেই আমরা এই সমস্যার মধ্যে দিয়েই বড় হয়ে উঠেছি।এলাকার মানুষ এ ভাবেই অভস্ত্য। দেশের এই সেনা ছাউনি আমাদের গর্বের প্রতীক।