বিদেশ থেকে অনুদান সংগ্রহ করতে পারবে না রামকৃষ্ণ মিশন, তিরুপতি এবং শিরটি মন্দির কর্তৃপক্ষ। কারণ তাঁদের এফসিআরএর অনুমোদন দেয়নি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিদেশ থেকে যেকোনও অনুদান সংগ্রহ করতে হলে এই অনুমোদন অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সেটা করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্র। তার কারণও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। এফসিআরএ নিয়ে সমস্যায় রামকৃষ্ণ মিশন।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর প্রচুর পরিমানে অনুদান আসে বিদেশ থেকে। একাধিক ব্যক্তি এবং সংস্থা রামকৃষ্ণ মিশনে অনুদান দেন। তার জন্য এইএফসিআরএর অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। সেটার অনুমোদন দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যার জেরে আর বিদেশ থেকে কোনও অনুদান সংগ্রহ করতে পারবেনা রামকৃষ্ণ মিশন।তবে শুধু রামকৃষ্ণ মিশন নয় শিরডি সাঁইবাবা সংস্থান, তিরুমালা তিরুপতি দেবদর্শনও পায়নি এফসিআফএর অনুমতি। কাজেই তারাও আর বিদেশ থেকে অনুদান নিতে পারবে না। এতে মন্দিরের ভাঁড়াড়ে টান তো পড়বেই সেই সঙ্গে একাধিক উন্নয়নমূক কাজেও প্রভাব পড়বে।
কারন বিদেশ থেকে আসা অনুদানের টাকাতে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে এই মন্দির কর্তৃপক্ষ। তারা একাধিক কাজ করে থাকে। যেমন দুঃস্থদের শিক্ষা থেকে শুরু করে চিকিতসা দেওয়া এরকম একাধিক কাজ করে থাকে তারা। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে অর্থাভাবের মুখে পড়তে হবে এই টাকা না পাওয়ার জন্য। শুধু এই তিন সংস্থা নয়, ভারতের প্রায় ৬০০০ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিদেশ থেকে টাকা নিয়ে এসে অনেক অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে। তার জেরেই এই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর ও পড়ুন শিলিগুড়িতে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমন
এর আগে মাদার টেরেজার তৈরি মিশনারিজ অব চ্যারিটির এফসিআরএ অনুমোদনও দেয়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই নিয়ে সরব হয়েছিল অনেকে। গত ২৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে মিশনারিজ অব চ্যারিটির এফসিআরএ অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়েছিল। নোবেলজয়ী মাদার টেরেজার সংস্থার এই অনুমোদন বাতিল করার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু তাই নিয়ে মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পুরোটাই রাজনৈতিক স্বার্থে বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে আবার রামকৃষ্ণ মিশন সহ তিনটি ধর্মীয় সংস্থার এফসিআরএ কেন বাতিল করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল এই সংস্থাগুলি যেন তাঁদের বিদেশের অনুদানের হিসেব জমা দেন।
তাতে শিরডি মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বিদেশ থেকে ৫ কোটি রুপি অনুদান পেয়েছিল তারা। রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল জুলাই মাস পর্যন্ত তারা বিদেশ থেকে ১.৩ কোটি রুপি অনুদান পেয়েছিল।
উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে অনুদান সংগ্রহ করতে পারবে না রামকৃষ্ণ মিশন, তিরুপতি এবং শিরটি মন্দির কর্তৃপক্ষ। কারণ তাঁদের এফসিআরএর অনুমোদন দেয়নি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিদেশ থেকে যেকোনও অনুদান সংগ্রহ করতে হলে এই অনুমোদন অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সেটা করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্র। তার কারণও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। এফসিআরএ নিয়ে সমস্যায় রামকৃষ্ণ মিশন। প্রতিবছর প্রচুর পরিমানে অনুদান আসে বিদেশ থেকে। একাধিক ব্যক্তি এবং সংস্থা রামকৃষ্ণ মিশনে অনুদান দেন। তার জন্য এইএফসিআরএর অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। সেটার অনুমোদন দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
যার জেরে আর বিদেশ থেকে কোনও অনুদান সংগ্রহ করতে পারবেনা রামকৃষ্ণ মিশন।তবে শুধু রামকৃষ্ণ মিশন নয় শিরডি সাঁইবাবা সংস্থান, তিরুমালা তিরুপতি দেবদর্শনও পায়নি এফসিআফএর অনুমতি। কাজেই তারাও আর বিদেশ থেকে অনুদান নিতে পারবে না। এতে মন্দিরের ভাঁড়াড়ে টান তো পড়বেই সেই সঙ্গে একাধিক উন্নয়নমূক কাজেও প্রভাব পড়বে।