রামপুরহাট কাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি বিরোধীদের। অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট, ১০ টি বাড়িতে আগুন লেগে ১০ জনের মৃত্যু। সোমবার রাতে তৃণমূল উপপ্রধানকে বোমা মেরে খুনের পরই রামপুরহাটের বগতুই গ্রামের অন্তত আট থেকে দশটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি বাড়িতেই সাতজন ছিল বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। এলাকায় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে।
এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তুললেন BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘রামপুরহাটে ১০ জন মারা গিয়েছেন বলে দমকল দাবি করেছে। এই ঘটনা অভূতপূর্ব। এর আগে রাজ্যবাসী এমন ঘটনা দেখেনি। আমরা অবিলম্বে পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দাবি করছি। রাজ্যে আইনের কোনও শাসন নেই। সেকথা ফের প্রমাণিত হল।’ শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে CPIM-ও।
দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেন, ‘তোলাবাজির টাকার ভাগ কে পাবে তা নিয়ে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব। আর সেই কারণেই পুড়িয়ে মারা হল সাধারণ মানুষকে। তোলাবাজির জন্য টাকা আসে ভাইপোর অ্যাকাউন্টে। এসপির মারফত সেই টাকা আসে ভাইপোর অ্যাকাউন্টে। বালি খাদান ও কয়লা খাদানের নামে প্রাকৃতিক সম্পদ লুটের চক্রান্ত চলছে। আজকের ঘটনা বিচ্ছিন্ন কোনও বিষয় নয়। গোটা রাজ্য এখন এভাবেই চলছে। আমাদের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর দায় নিতে হবে।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতরাতে বেশ কয়েকটি বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। তার জেরে মৃত্যু হয় ১০ জনের। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। সকাল থেকে গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা বিজেপি ও সিপিএম-এর প্রতিনিধি দলের। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমেরও সেখানে যাওয়ার কথা। এদিকে বিধানসভাও এই ইস্যুতে আজ উত্তাল হয়ে ওঠে। বিজেপি বিধায়করা জিরো আওয়ারে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চান। অভিযোগ, শাসকদল তা করতে দেয়নি। তার প্রতিবাদে বিজেপি বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে।