দিল্লী: ৯ই নভেম্বর ২০১৯: দিল্লী এবং উত্তর প্রদেশে কড়া নিরাপত্তার ঘেরা-টোপে বহু বির্তকিত অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষনা করলো সুপ্রিমকোর্ট. এদেশের রাজনিতীর একটা বড় অংশ আর্বতিত হয়েছে এই বির্তককে কেন্দ্র করেই. শেষমেষ সেই বিষয়েই রায়দান হলো আজ. পাঁচ সদস্য়ের বিচারপতির সহমত পোষনে ঘোষনা হল রাম মন্দির অযোধ্যাতেই হবে. সেই নিরিখে কেন্দ্র সরকারকে তিন মাসের মধ্য়ে প্রযোজনীয় পরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশ দেয় মহামান্য় আদালত. পাশাপাশি – বাবরি মসজিদ বানানোর জন্য পাঁচ একড় জমি দেওয়ার কথা ঘোষনা করা হয় এদিন.সর্বচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তে একদিকে উল্লাসের মাহোল হলেও, অপরদিকে সুন্নি-বফ্ফ-বোর্ড মোটেই সন্তুষ্ট নন.
প্রসংগত এই বিষয়ে বিচারপতি রঙ্জন গগোই বলেন হিন্দুরা অয়োধ্য়াকে রাম-জন্মভূমি হিসেবে মেনে আসছেন কিন্তু পুরাতত্ব বিভাগের রিপোর্টে এটা স্পষ্ট নয় যে রাম মন্দির ভেঙ্গে বাবরি-মসজিদের নির্মাণ হয়. উল্ল্খ্য় যে রাম মন্দির বাবরি-মসজিদ ইতিহাস বলে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়. যারপরনাই ধর্মিয় ভাবাবেগ চরমে ওঠে. সাল ১৫২৮, হিন্দু মতে ভগবান রামের জন্মস্থানে স্থাপিত হয় বাবরি-মসজিদ. পরে ১৮৫৩ সালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মিয় উন্মাদনা প্রবল হয়. ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভিতর রামের মুর্তি দেখা যায় বলে অভিযোগ ওঠার পাশাপাশি তুমুল ধর্মিয় উন্মাদনা শুরু হয়. ১৯৮৪ থেকে ২০১১ উক্ত বিষয় নিয়ে চলে অবিরাম কড়চা. অবশেষে আজ চুড়ান্ত রায় ঘোষনা করলো সর্বচ্চ আদালত. অযোধ্য়ায় হতে চলেছে বহু প্রতিখ্য়িত এবং বহু বির্তকিত রাম-মন্দির.