রায়গঞ্জ মেডিক্যালে পরপর চুরি ও ছিনতাই, চাঞ্চল্য। রায়গঞ্জ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরপর চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে বুধবার দিনভর চাঞ্চল্য ছড়ালো রায়গঞ্জ মেডিক্যালে আসা রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে। উল্লেখ্য এর আগে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে দালাল চক্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিলেও কোনো ভাবেই দালাল চক্র ঠেকানো যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা।
মঙ্গলবার দালালের খপ্পরে পড়ে ১৯ হাজার টাকা ছিনতাই হল স্বপন দাস নামক এক প্রবীণের। তিনি জানান, এক্সরে করানোর জন্য ওয়ার্ডেরই একজন ব্যক্তিকে ডাকেন, যিনি স্ট্রেচারে করে রোগীদের পুরুষ বিভাগে ভর্তি করাচ্ছিল। তখন ঐ ব্যক্তি ২০ টাকার বিনিময়ে তাকে এক্সরে রুমে পৌঁছেও দিতে চান। এরপর হুইল চেয়ারে বসিয়ে এক্সরে রুমের উদ্দেশ্যে ঐ ব্যক্তি রওনা হলে মাঝ পথে পকেটের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে ১৯ হাজার টাকা চুরি করে চম্পট দেয়।
অন্যদিকে স্বামীর চিকিৎসা করাতে এসে হাসপাতালের ভেতর থেকে ১২ হাজার টাকা খোয়া গেলো বীনা বর্মন নামে এক মহিলার। কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা বীনা দেবী বলেন, চিকিৎসার জন্য স্বামীকে মঙ্গলবার সকালে রায়গঞ্জ মেডিকেলে ভর্তি করি। রাতে চিকিৎসক রাউন্ডে এলে স্বামীকে ডাক্তার দেখাতে ব্যস্ত থাকায়, সেই সময় মানি ব্যাগটি বেডে রেখে দিই এবং পাঁচ মিনিট পরে এসেই দেখি মানি ব্যাগটি নেই। যার মধ্যে ১২ হাজার টাকা ছিলে বলে বীনা দেবী দাবি করেছেন। মঙ্গলবার রাতে রায়গঞ্জ মেডিকেলে টাকা ছিনতাই ও টাকা চুরির দুটি পৃথক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মেডিকেল চত্বরে।
আরও পড়ুন – ‘মা’ ক্যান্টিনে পাঁচ টাকায় মাংস ভাত।
রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের ২০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে পুলিশ ক্যাম্প।তারপরেও রায়গঞ্জ মেডিকেলে কলেজ ও হাসপাতালের ভেতরে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এই ঘটনার বিষয় নিয়ে মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। যাদের টাকা চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে, তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ নিশ্চয়ই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। চুরি ও ছিনতাই