লরির সঙ্গে বাংলাদেশে যেতে না পেরে রুজি-রুটিতে টান সীমান্তের খালাসীদের

লরির সঙ্গে বাংলাদেশে যেতে না পেরে রুজি-রুটিতে টান সীমান্তের খালাসীদের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
রুটিতে

লরির সঙ্গে বাংলাদেশে যেতে না পেরে রুজি-রুটিতে টান সীমান্তের খালাসীদের। করোনা বাড়বাড়ন্তের জের, লরির সঙ্গে বাংলাদেশে যেতে না পেরে রুজি-রুটিতে টান সীমান্তের খালাসীদের । দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার  বসিরহাটের ঘোজাডাঙ্গা। প্রত্যেকদিন এই বন্দর থেকে শয়ে শয়ে পণ‍্যবাহী লরি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয় মাল রপ্তানির জন্য।

 

সেই পণ্যবাহী লরিতে এর আগে সবসময়ই চালকের পাশাপাশি খালাসীরা বাংলাদেশে যেত, সেখানে গিয়ে লরি আনলোডিং করার জন্য। ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ খালাসী রয়েছেন যারা শুধুমাত্র পণ্য আনলোডিং করেই তাদের রুজি রোজগার বহন করে চলেন। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ খালাসীরা বাংলাদেশে যেতে পারছেন না। যার জেরে টান পড়েছে তাদের রুজি রুটিতে।

 

ফলে তারা সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বিক্ষুব্ধ খালাসীরা জানাচ্ছেন, তারা আগে বাংলাদেশে গিয়ে পণ্য খালি করতেন যার ফলে তাদের দু’পয়সা ইনকাম হতো। কিন্তু বর্তমানে তারা কর্মহীন। সেই রুজি রোজগারে টান পড়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে খালাসিদের বাংলাদেশে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কেন?

 

এ ব্যাপারে ঘোজাডাঙ্গা আমদানি-রপ্তানি সংস্থার সম্পাদক সঞ্জীব মন্ডল হেল্পারদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমরা এই নতুন কমিটিতে এসে খালাসীদের বাংলাদেশে যাওয়ার ব্যাপারে ছাড়পত্র জোগাড় করেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে করোনা বাড়বাড়ন্তের জেরে বাংলাদেশ প্রশাসন গাড়ি সহ একজনের যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। যার ফলে এদেশের হেল্পাররা সে দেশে যেতে পারছেন না।

 

আর ও পড়ুন    ভুতের ভয়ে সিঁটিয়ে আছে গ্রাম, ভূত তাড়াতে চলছে হরিনাম সংকীর্তন

 

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকের পরেও কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি। তবে অবিলম্বে চাইবো এই সমস্যার সমাধান হোক এবং দ্রুত এই খালাসীরা যেন আবার তাদের কাজে ফেরত যান।” খালাসিদের পাশে না পেয়ে তীব্র সমস্যার মধ্যে পড়ছেন পণ্যবাহী লরির চালকরাও।

 

তারা জানান, এতো বড় লরি থেকে মাল আনলোডিং করতে খালাসী প্রয়োজন খুবই। একজনের পক্ষে এতো বড়ো ট্রাক খালি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই অবিলম্বে খালাসিদের বাংলাদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। বিক্ষোভকারীরা চাইছেন অবিলম্বে তাদের যেন বাংলাদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, নয়তো আগামী দিনে তাদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে যাবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top