রেল দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৯, ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী. বৃহস্পতিবার বিকালে জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার পথে ময়নাগুড়ির কাছে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। গতকাল দুর্ঘটনার পর হাহাকার ক্রমেই বাঁধ ভাঙছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। সেই ঘটনায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত বহু। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনসুল গুপ্তা বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার কারণ এখনই বলা যাবে না। কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি আসার পরেই সবটা জানা যাবে। আহতদের মধ্যে ৩৬ জনের চিকিতসা চলেছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। ৬ জন যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কয়েক জনকে রেফার করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, ‘‘মেডিকেল বোর্ড গঠন করে আটটি মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে।ময়নাগুড়ি-দোমহনির মাঝে লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনার কারণ এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে সিগনাল বা পয়ন্টের সমস্যা নয়, লাইনের ত্রুটি থেকেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা রেল আধিকারিকদের। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে উদ্ধারকার্যেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এদিকে দুর্ঘটনার পর রাতভর চলেছে উদ্ধারকার্য। রাতেই হাওড়া পৌঁছেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
আর ও পড়ুন কলকাতা পুরসভার প্রায় ৩২৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত, জানালেন অতীন ঘোষ
দুর্ঘটনায় বেলাইন বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ১২টি বগি। এখনও ট্রেনের ২টি কামরায় যাত্রীদের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী বলেন, ‘খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, রেল তার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছে। উদ্ধারকার্য দ্রুত করা হচ্ছে, হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে যাত্রীদের। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। আমি চেষ্টা করছি সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর টিম কাজ শুরু করেছে। সবাই মিলে এই সময় কাজ করা উচিত।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি হোক অথবা অন্য কোনো কারণ হোক সেই কারণটিকে খুঁজে বের করা হবে। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারণ বলা সম্ভব নয়। খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত করা হবে, তদন্তে অনেক গুলো বিষয় রয়েছে।