ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে এই দুর্ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে সিআইডি-র উপর। মঙ্গলবার বিকাল ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ব্রিজ। দুর্ঘটনাস্থলে আটকে পড়ে বহু মানুষ, গাড়ি ও বাইক। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কলকাতা-সহ পাশ্ববর্তী জেলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে শহরের হাসপাতালগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছেছে ডাক্তারদের কাছে।
মাঝেরহাট ব্রিজের নীচ দিয়েই গিয়েছে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার রেল লাইন। ফলে, ব্রিজ ভেঙে পড়ার সময় লাইনে ট্রেন থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। মঙ্গলবার বিকালে এই দুর্ঘটনা ঘটারপরই রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন, এই ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণে আরও যত্নবান হওয়া উচিত ছিল। এরপরই রাজ্যপাল এই দুর্ঘটনার দায় সরাসরি রাজ্য পূর্ত দফতর এবং রেলের উপর চাপান। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ এই দায়িত্ব নিতে চায়নি। তবু এরপরও ‘রাইটস’-কে এই দুর্ঘটনার তদন্তভার দিল রেল। উল্লেখ্য, রেলের অধীনস্থ ‘রাইটস’ সংস্থাটি স্বাধীনভাবে রেল ও যান চলাচল পরিকাঠামো সংক্রান্ত উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করে। এবার সেই সংস্থার হাতেই তদন্তভার তুলে দিল রেল। মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের জেরে যান চলাচলে যেমন বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে, তেমনই বাস রুটেরও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে। সেতু ভেঙে পড়ায় বেহালা, মাঝেরহাট, নিউ আলিপুর-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ l কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ সচল রাখতে বাস রুটে পরিবর্তন করা হয়েছে।তারাতলা থেকে বজবজ
তারাতলা থেকে টালিগঞ্জ মেট্রো
টালিগঞ্জ মেট্রো থেকে বেহালা
বেহালা চৌরাস্তা থেকে দোস্তিপুর
বেহালা থেকে ডায়মন্ড হারবার
নিউ আলিপুর স্টেশন থেকে বেহালা চৌরাস্তা
এসপ্লানেড থেকে ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করেছে রাজ্যের পরিবহন দফতর ।