লকডাউনে কাজ হারিয়ে আপেল কুল চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক

লকডাউনে কাজ হারিয়ে আপেল কুল চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা ২১জানুয়ারি ২০২১ (কোচবিহার)বক্সিরহাট: কিছুদিন বাদেই আসছে সরস্বতী পূজা। আর এই সরস্বতী পূজোয় ব্যাপক চাহিদা থাকে আপেল কুলের।

এছাড়াও শীতকালে এই ফলের কদর থাকে বেশ।এবার সেই আপেল কূলের জোগান দেবে আসাম- বাংলা সীমান্তের শালডাঙ্গা গ্রামের বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক । কোচবিহার জেলার মহিষকুচি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়ডাক নদীর চড় সংলগ্ন শালডাঙ্গা এলাকায় ১o বিঘা জমির ওপর আপেল কুল চাষ করছে ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। করোনা আবহে ভিন রাজ্য থেকে নিজের এলাকায় ফিরে রোজগার হারিয়ে দিশেহারা হয়ে তারা আপেল কূল চাষে আগ্রহী হন কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সংকট। ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন কিন্তু কোনও সরকারি সহায়তা বা ব্যাংক থেকে লোন পেতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। অবশেষে ধার দেনা করে ঝুঁকি নিয়ে নদীর চর সংলগ্ন এলাকায বালুমাটি কে কুল চাষের উপযোগী করে কোনও রকমে তারা আপেল কূল চাষ করেন। আপেল কূল চাষ করে তারা আয়ের মুখ দেখতে চান । বর্তমানে তারা সফলতার পথে। তাদের উৎপাদন করা আপেল কূল কিনতে বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা ভিড় পাকাচ্ছেন। এখানকার আপেলকূল পাড়ি দেবে সমস্ত পশ্চিমবঙ্গ সহ আসামে। আর আপেল কূল বিক্রি করে তাদের ভালোই আয় হবে বলে তারা আশাবাদী। চাষিরা বলেন, তাদের বাগানে দুই রকমের কুল চাষ করা হয়েছে এক আপেল কুল, আর এক বড়ই কূল, বেশ কিছুদিন ধরে অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে গাছে পোকা ধরে ফলভর্তি গাছ এর ডাল ভেঙে পড়ছে । তবুও তারা অনবরত চেষ্টা করে যাচ্ছেন ফলভর্তি গাছকে রক্ষা করার জন্য।এছাড়াও চাষিরা বলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণা করেছিল সরকার তবে যখন তারা লকডাউন এ কাজ হারিয়ে এই কূল চাষের জন্য সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এক প্রকার বাধ্য হয়ে তারা বাইরে থেকে ধার দেনা করে তারা এই চাষ করছেন। তবে এই পরিযায়ী শ্রমিকেরা আদৌ কি সরকারি সাহায্য পাবে এটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন…পাণ্ডবেশ্বরে খোট্টাডিহিতে আগুন, আতঙ্ক এলাকায়

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top