কালী পুজোর দিন লক্ষ্মী পুজো করা হয় কেন? কালীপুজোর আর কয়েকটা দিন বাকি। তন্ত্রপূরাণ অনুসারে, কালীর একাধিক রূপের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রকৃত অর্থে কালকে কলন করেছেন যিনি তিনিই হলেন কালী। মা কালীর নাম নিলেই মনের মধ্যে ভেসে ওঠে কৃষ্ণবর্ণা দেবীর এক উগ্রচন্ডা রূপ। কালো বর্ণের কালী শ্মশানকালী রূপে পূজিতা হন বিভিন্ন স্থানে। আবার নীল বর্ণের কালী শ্যামাকালী হিসাবেও বিভিন্ন স্থানে পূজিতা হন। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষ তিথিতে হয় কালী পুজো। এই বছর কালী পুজো অর্থাৎ দীপাবলি পড়েছে ৪ নভেম্বর। দীপাবলিতে লক্ষ্মী -গণেশের পুজোও করা হয়।
এই দিন অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে শুভ শক্তির সূচনা হয়। পুরাণ অনুসারে দেবী লক্ষ্মীর অর্ধেক অংশ অলক্ষ্মী। লক্ষ্মী ব্রহ্মার মুখের উজ্জ্বল অংশ থেকে এবং অলক্ষ্মী তাঁর পিঠের অন্ধকার দিক থেকে আবির্ভূতা। অলক্ষ্মী, ঈর্ষা, দুর্ভাগ্য ও অশুভতার প্রতীক। মনে করা হয় লক্ষ্মীপুজোর সময়, লক্ষ্মীর সঙ্গে গৃহে আগমন হয় অলক্ষ্মীরও। তাই কালী পুজোর দিন লক্ষ্মী – অলক্ষ্মী উভয়ের পুজো করে, অলক্ষ্মীকে বিদায়।
আর ও পড়ুন এটিকে মোহনবাগান থেকে সরছেন সৌরভ, কেন?
কালীপুজোর দিন গোবর দিয়ে অলক্ষ্মী এবং পিটুলি দিয়ে লক্ষ্মী -নারায়ণ- কুবেরের মূর্তি তৈরি করার রীতি বহু প্রচলিত। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর মতোই এদিন গৃহস্থ বাড়িতে আলপনা দেওয়া হয়। কালীঘাট মন্দিরেও শ্যামা পুজোর দিন অলক্ষ্মী পুজো করা হয়। এদিন সন্ধ্যাবেলা দক্ষিণাকালী পূজিতা হন, মহালক্ষ্মী রূপে। পুজোর পর অলক্ষ্মী বিদায় করে মন্দির ধুয়ে ফেলা হয়। সাধারণত এপার বাংলার মানুষ অর্থাৎ এদেশীয়রা অলক্ষ্মী পুজো করে থাকেন। তবে দীপাবলিতে লক্ষ্মী -গণেশ পুজোর রীতি গোটা ভারতবর্ষের ভিন্ন স্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, কালীপুজোর আর কয়েকটা দিন বাকি। ৪ নভেম্বর কালীপুজো। তন্ত্রপূরাণ অনুসারে, কালীর একাধিক রূপের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রকৃত অর্থে কালকে কলন করেছেন যিনি তিনিই হলেন কালী। মা কালীর নাম নিলেই মনের মধ্যে ভেসে ওঠে কৃষ্ণবর্ণা দেবীর এক উগ্রচন্ডা রূপ। কালো বর্ণের কালী শ্মশানকালী রূপে পূজিতা হন বিভিন্ন স্থানে। আবার নীল বর্ণের কালী শ্যামাকালী হিসাবেও বিভিন্ন স্থানে পূজিতা হন। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষ তিথিতে হয় কালী পুজো। এই বছর কালী পুজো অর্থাৎ দীপাবলি পড়েছে ৪ নভেম্বর। দীপাবলিতে লক্ষ্মী -গণেশের পুজোও করা হয়।