লাউকুটি কে করিডোর করে বক্সিরহাটে কাঠ পাচারের রমরমা কারবার । বক্সিরহাট এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে অবৈধ কাঠ মাফিয়ারা। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এই কারবার। গত দুই মাসে একাধিক অভিযান চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার কাঠ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বনদপ্তর। কিন্তু তারপরেও সক্রিয় পাচার চক্র। এক এক করে অভিনব পদ্ধতিতে কাঠ পাচার চলছে সীমান্তবর্তী এলাকায়।
বক্সা ও ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে শাল ও সেগুন গাছ কেটে সংকোশ নদী পথে তা অনায়াসে পাচার হয়ে আসছে বক্সিরহাটের দুর্গম এলাকায়। পাচার হচ্ছে আসামে।অসম – বাংলা সীমানার জিরো পয়েন্ড এ গড়ে উঠেছে বেশ কিছু অবৈধ চেরাই কলের মিল। কাঠ চেরাইয়ের পর তা চোরাইপথে পৌঁছাচ্ছে বক্সিরহাট হয়ে সেই সমস্ত অবৈধ কাঠ মিল গুলিতে। বেশ কয়েক মাস আগে ছোট লাউকুটি ঘাট সংলগ্ন রাস্তার ধারে অভিযান চালিয়ে কয়েক লক্ষাধিক টাকার চেরাই করা শাল কাঠ উদ্ধার করে বনদপ্তর।
স্থানীয়দের দাবি, বক্সিরহাট বাজার থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে ছোট লাউকুঠি ঘাট সেই এলাকা কে কার্যত করিডোর করে, সুযোগ বুঝে বাইক ও টোটো তে করে চেরাই করা শাল ও সেগুন কাঠ চলে আসছে,বক্সিরহাটে। কিছুদিন সেই কাঠ গুলি মজুদ থাকার পর সেখানে থেকে চোরাই পথে সাইকেল ও মোটর সাইকেলে তা চলে যাচ্ছে কাঠ ব্যবসায়ীদের হাতে। তারপর তা বিভিন্ন ফার্নিচারের দোকান সহ চলে যাচ্ছে বাড়ি নির্মাণের কাজে। এভাবেই এই হাত থেকেও হাত পাচার হয়ে যাচ্ছে কাঠ। বক্সিরহাট থানা এবং আসামের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠতে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন – এই দুর্গে রাত কাটালেই মৃত্যু নিশ্চিত, জানেন কোথায় আছে এই দুর্গ, কি তার রহস্য
নাগুর হাট বিট অফিসার মহেশ কুমার বাল্মিকী জানান, আমরা বিভিন্ন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি লাগাতার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সফলতা আসছে। কিছুটা হাত ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি বিশেষ প্রয়োজন।
কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানি রাজ বলেন, কাঠ পাচার রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে সম্ভব নয় সব তথ্য সামনে নিয়ে আসা। পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। লাউকুটি কে