লাল শাক চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন । আলতা পেটি, রক্ত জবা, রক্ত রাংগা, পিংক কুইন আর বারি ১ এর বীজ প্রায় সব জায়গাতে পাওয়া যায়। সব চেয়ে বেশী পাওয়া যায় বারি১। ১৯৯৬ সাল থেকে এই জাতের চাষ শুরু হয়েছে দেশে।
লাল শাকের জাত বা ধরন
আলতা পেটি, রক্ত জবা, রক্ত রাংগা, পিংক কুইন আর বারি ১ এর বীজ প্রায় সব জায়গাতে পাওয়া যায়। সব চেয়ে বেশী পাওয়া যায় বারি১। ১৯৯৬ সাল থেকে এই জাতের চাষ শুরু হয়েছে দেশে। বর্তমানে বারি ১ ই বেশী চাষ হয়।
চাষের সময়
বছরের শুরু দিক লাল শাক চাষের সময়। কিন্তু শীতের সময় লাল শাকের ফলন ভাল হয়।
ছাদে সারা বছরই চাষ করা যায়। শুধু যখন সিজন না তখন একটু বেশি যত্ন নিতে হয়।
মাটি তৈরী
যাদের আশেপাশে মাটি পাওয়া যায় তারা যদি এটেল মাটি হয় তবে এটেল মাটির সাথে ৩০ ভাগ বালি, আর ৩০ ভাগ ছাই মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। ১০ ইঞ্চি টবের চার টব পরিমান মাটি নিতে হবে। আর মাটি তৈরীর সময় ৭-৮ গ্রাম টি টি এস পি সার এর দানা, ৭-৮ গ্রাম ইউরিয়া সার আর ১০ মুঠো জৈব সার মিশাতে হবে। মিশিয়ে ২ থেকে ৩ দিন রেখে দিতে হবে আর সাথে প্রতিদিন হাত দিয়ে মাটি গুলো ঝুরঝুরে করে দিতে হবে। ছাদে যেহেতু মাটি কম এর কারনে মাটি শুকিয়ে যায় ফলে গাছ খাদ্যরস কম পায়। তাই গাছে সার দিলে গাছ গুলো সতেজ থাকে আর ফলন ভালো হয়।
আর ও পড়ুন ট্রাভেল এজেন্সি খুলে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা
চাষের বেড তৈরী
সাধারণত ৪-৫ ইঞ্চি মাটিতেই লাল শাক বা ডাটা শাক চাষ করা যায়। প্লাস্টিকের ট্রের উপরে পেপার বিছাতে হবে, যেন জল দেয়ার সময় সব জল পরে না যায় বা মাটিও ধুয়ে না যায়। ট্রে তে মাটি গুলো বিছিয়ে ঝুরঝুরে করে নিয়ে বীজ গুলো হাল্কা হাতে ছড়িয়ে দিয়ে দিতে হবে। একটি কাঠীর সাহায্যে মাটি গুলো অর্ধেক ইঞ্চি উপর নীচ করে দিতে হবে।
এছাড়াও অনেকে ছাদে মোটা পলিথিন বিছিয়ে বেড এর চারিদিক একটু উচু করে বাউন্ডারি দিয়ে বেড বানিয়ে নিতে পারেন। মাটির বিকল্প হিসাবে কোকোপিট এর ও অনেক ব্যবহার হচ্ছে। কোকোপিট নারকেলের খোসা দিয়ে তৈরী।এটা ব্যাবহার করতে চাইলে ৫০ ভাগ কোকোপিট ৩০ ভাগ বেলে মাটি আর ২০ ভাগ জৈব সার মিশিয়ে বেড বানাতে পারেন।