খেলা – মরশুমের দ্বিতীয় ট্রফি জয় মোহনবাগান এসজির। ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে আইএসএল ট্রফি জিতল সবুজ মেরুন । ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকেই শুরু করেছিল মোহনবাগান এসজি। সবুজ মেরুন খেলতে শুরু করে ৪-২-৩-১ ছকে। অন্যদিকে বেঙ্গালুরু খেলতে শুরু করে ৪-৩-৩ ছকে।১৭ মিনিটে মনবীরের পাস থেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন ম্যাকলারেন। ১৯ মিনিটে সুনীলের হেড গোললাইন থেকে রক্ষা করলেন শুভাশিস বোস। মোহনবাগানের ঘরের মাঠে দাপট ক্রমশ বৃদ্ধি করতে থাকে বেঙ্গালুরু এফসি। ঘরের মাঠেই বেঙ্গালুরুর চাপে কোনঠাসা হয়ে যায় শুভাশিসরা। প্রথমার্ধের খেলা শেষে কোনও দলই গোল করতে পারল না, ফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হল প্রথম ৪৫ মিনিটের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল হজম করে কিছুটা চাপে চাপে পড়ে গেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ধাক্ক খেল মোহনবাগান এসজি। আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গেল বেঙ্গালুরু এফসি। ৪৮ মিনিটে রায়ান উইলিয়ামসের শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই বল ঢুকিয়ে দিলেন আলবার্তো রদ্রিগেজ। বিশাল কাইথের কিছুই করার ছিল না। নিশ্চুপ হয়ে গেল গোটা যুবভারতী।৫৩ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জেসন কামিংসের শট কোনওক্রমে রক্ষা করলেন গুরপ্রীত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে প্রথম আক্রমণ করল মোহনবাগান এসজি। এররৃপর দুটি পরিবর্তন করলেন মোহনবাগান এসজি কোচ মোলিনাষ থাপার জায়গায় নামালেন সাহালকে। আশিক নামলেন লিস্টনের জায়গায়। থাপা এবং লিস্টন এই ম্যাচে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারলেন না। ফলে তাদের তুলে নিলেন কোচ মোলিনা।
সালাহ-আশিক নামতেই বাগানের খেলা গতি পেল। সালাহ এবং আশিক বেঙ্গালুরু বক্সে চাপ সৃষ্টি করলেন। সালাহের শট কোনওক্রমে রক্ষা করলেন বেঙ্গালুরু ডিফেন্ডার। ৬৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগালেন চিঙ্গলসানা সিং। পেনাল্টি দিতে ভুল করেননি রেফারি। পেনাল্টি পাওয়ার পরই বাজি ফাটতে শুরু করল যুবভারতীতে। কামিংস গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে গোল করতেই গর্জে উঠল গোটা যুবভারতী। এরপরই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান এসজি। কিন্ত জেমি ম্যাকলারেন সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন।৭৯ মিনিটে কামিংসকে তুলে গ্রেগ স্টুয়ার্ডকে নামালেন মোলিনা। এরফলে বাগানের আক্রমণে বৈচিত্র দেখা গেল। পাল্টা করতে থাকল মোহনবাগান এসজি, সুযোগ তৈরি করলেও সেখান থেকে কাঙ্খিত দ্বিতীয় গোল আসছিল না। শেষ লগ্নে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করলেন জেমি ম্যাকলারেন। কামিংসের পাস থেকে গোল করতে পারলেন না ম্যাকলারেন। ফলে ৯০ মিনিট শেষে খেলার ফল ছিল ১-১।
এরপর অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই গোল করলেন জেমি ম্যাকলারেন। ৯৬ মিনিটে স্টুয়া্রটের পাস থেকে দুরন্ত গোল করলেন জেমি ম্যাকলারেন। গোল করে ছক্কা হাঁকানোর স্টাইলে সেলিব্রেশন করলেন অজি তারকা। এরপর ম্যাকলারেনকে তুলে নিয়ে দিমিত্রিকে নামালেন মোলিনা। অতিরুক্ত সময়ের প্রথম পর্বের খেলা শেষে মোহনবাগান এসজি ২-১ গোলে এগিয়েছিল।অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় পর্বে মোহনবাগান এসজি ডিফেন্সকে জমাট করে ফেলে। যুবভারতীর ৬০ হাজার দর্শকের সামনে আইএসএল ট্রফি জিতল মোহনবাগান। মুম্বই সিটির পর দ্বিতীয় দল হিসাবে দুটি ট্রফি জিতল মোহনবাগান।
