করাচিতে প্রতি লিটার দুধের দাম কত জানেন? শুনলে চমকে যাবেন

করাচিতে প্রতি লিটার দুধের দাম কত জানেন? শুনলে চমকে যাবেন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
লিটার

করাচিতে প্রতি লিটার দুধের দাম কত জানেন? শুনলে চমকে যাবেন। অর্থনৈতিক সংকটে জেরবার জনগণের ক্ষোভের মুখে এখন ইমরান খান সরকার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তানের করাচির জনগণ। গত সোমবার দুধ ও দুগ্ধজাত খাতের নীতিনির্ধারকেরা তরল দুধের দাম প্রতি লিটারে বাড়িয়েছেন ১০ টাকা। আর দইয়ের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা।

 

সূত্রের খবর অনুযায়ী, এর মধ্য দিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো দুধ ও দইয়ের দাম বাড়ানো হলো। এর আগে মার্চে প্রতি লিটার দুধের দাম ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়। আর তাতে দইয়ের দামের ওপর প্রভাব পড়ে। দইয়ের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা করা হয় তখন।

 

খুচরা দুধ বিক্রেতা সমিতির মুখপাত্র ওয়াহিদ গাদ্দি জানান, তরল দুধের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৪০ টাকা। আর দইয়ের নতুন দাম প্রতি কেজি ২২০ টাকা। খুচরা বিক্রেতাদের সংগঠন যখন দুধের দাম বাড়ানোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তখন কীভাবে পাইকারি বিক্রেতারা দাম বাড়ালেন, সে ব্যাপারে ওয়াহিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, পাইকারি বিক্রেতারা দুধের দাম লিটারে ৪০ রুপি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।

 

দুই মাস ধরে তারই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন খুচরা বিক্রেতারা। আর পাইকারি বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে ফেললেন, খুচরা বিক্রেতাদের দাম বাড়ানো ছাড়া আর উপায় থাকে না। ওয়াহিদের অভিযোগ, সত্যিকার অর্থে যারা দুধের দাম বাড়ার জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রচুর জরিমানা আরোপ করা হচ্ছে। ওয়াহিদ আরও জানান, ২০১৫ সালের মার্চে দুধের দাম লিটারপ্রতি ৯৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তার পর থেকে সরকারি কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। তিনি বলেন, পাইকারি বিক্রেতারা খুচরা বিক্রেতাদের দুই মাস পর আবারও দাম বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন। দুধের দাম প্রতি লিটারে ৩০ টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন তারা।

 

আর ও পড়ুন  বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস পালিত হয় কেন? জানুন এর গুরুত্ব

 

উল্লেখ্য,  গবাদিপশু খামারিদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দাম বাড়ানোর সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। ডেইরি ক্যাটল ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শাকির গুজ্জার দাবি করেছেন, তরল দুধের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে তাঁর সংগঠনের কোনো ভূমিকা নেই।

 

পাইকারি বিক্রেতারাই দাম বাড়িয়েছেন। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে করাচি কমিশনারকে দুগ্ধ খামারিদের সংগঠন ও সিন্ধু খাদ্য কর্তৃপক্ষের (এসএফএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য সিন্ধু হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন। দুধের গুণমান ও সরকারি দামে দুধ বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল। ২১ অক্টোবরের মধ্যে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুমোদন করে যথাযথ কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপনের জন্য কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মোহাম্মদ ইকবাল কালহোরোর নেতৃত্বাধীন দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top