লিপস্টিক ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা
লিপস্টিকের ইতিহাসঃ
প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার নারীদের মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। মিশরীয়রা সামুদ্রিক আগাছা থেকে আরোহিত পার্পল-লাল রং এর এক প্রকার পদার্থের সাথে আয়োডিন ও কিছু ব্রোমিন মিশিয়ে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করতেন। ওই পদার্থ লিপস্টিক হিসেবে প্রয়োগ করা হতো। রানী ক্লিওপেট্রা তার ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার করতেন, যা তৈরি হতো মেরুন রঙের বিটল পোকা থেকে। এর ফলে ঠোঁটে একটি গাঢ় লাল আভা ফুটে উঠতো।
লিপস্টিক ব্যবহারের উপকারিতাঃ
লিপস্টিক যে শুধুমাত্র ঠোঁট বা মুখের সৌন্দর্য্যই বাড়ায়, তা কিন্তু নয় বরং ঠোঁট আর্দ্র এবং নরম রাখতেও লিপস্টিক খুব সাহায্য করে। ক্রিম লিপস্টিক, আর্দ্র লিপস্টিক কিংবা গ্লসি লিপস্টিক ঠোঁটকে নরম রাখতে এবং ফাটল থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। প্রত্যেকটি জিনিসেরই একটি ভালো এবং খারাপ উভয় দিকই রয়েছে। ঠিক তেমনই লিপস্টিকও এর ব্যতিক্রম নয়।
লিপস্টিকের অপকারিতাঃ
অতিরিক্ত লিপস্টিকের ব্যবহারে ঠোঁটের লোমকূপ ছোট হয়ে যেতে পারে, যেটি ঠোঁটের চামড়ার নমনীয়তা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অনেক সময় এটি ঠোঁটকে শুষ্ক করে ফেলে এবং ক্ষেত্র বিশেষে ঠোঁট তার নিজস্ব রঙ এবং স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলে। একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, লিপস্টিকে যে সকল ম্যাগনেসিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম ব্যবহৃত হয়, সেগুলো অত্যন্ত বিপদজনক রোগ এবং শারীরিক ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়াও কিছু কিছু লিপস্টিকে সীসা ব্যবহার করা হয়, যেগুলো স্নায়ুতন্ত্রের বিরাট ক্ষতিসাধন করতে পারে। সব ধরনের ঠোঁটের জন্য একইরকম লিপস্টিকের ব্যবহার উপযুক্ত নয়।