নদিয়া – কয়েক দিন আগেই নদিয়ার করিমপুরে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং প্রাক্তন সাংসদ পিনাকি মিশ্রর বিয়ের রিসেপশন ঘিরে রীতিমতো সাড়া পড়েছিল সমাজ মাধ্যমে। খোলা মাঠে সাজানো সেই জমকালো অনুষ্ঠানের ছবি ভাইরাল হয়েছিল নেটপাড়ায়। এর মধ্যেই মহুয়াকে ঘিরে এল বড় খবর। প্রশ্ন ঘুষ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করল লোকপাল। দেশের অ্যান্টি-কোরাপশন ওয়াচডগ সিবিআইকে মহুয়া-সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দাখিলের অনুমতি দিয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী চার্জশিটের একটি কপি লোকপালের রেজিস্ট্রিতেও জমা দিতে হবে। যদিও প্রসিকিউশন শুরু করার অনুমতি এখনও দেয়নি লোকপাল। আদালত যখন অভিযোগ গ্রহণ করবে, তখনই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।
মহুয়া আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে সিবিআই লোকপালের কাছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, সেটি নাকি সঙ্গে সঙ্গেই মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে। গত অগাস্টে এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, রিপোর্ট জমা পড়ার পরই তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে এবং এতে আইন অনুযায়ী গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে। শুনানিতে হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দেয় যে মামলার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে এবং লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মহুয়ার আইনজীবীর দাবি ছিল— বারবার তথ্য ফাঁস হওয়া আদালতের নির্দেশ ও আইনের বিরুদ্ধে।
মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উপহার, টাকা ও সুবিধা গ্রহণ করে সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি লোকসভার সাংসদদের জন্য তৈরি অফিসিয়াল ইমেল আইডির পাসওয়ার্ডও ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর বর্তমান স্বামী পিনাকি মিশ্র— বিজু জনতা দলের প্রাক্তন সাংসদ এবং সুপ্রিম কোর্টের অভিজ্ঞ আইনজীবী— মামলাটিকে ঘিরে আদালতে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখার পক্ষেই সওয়াল করেন।
এখন অপেক্ষা সিবিআইয়ের চার্জশিটের। সংস্থাকে চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে নথি দাখিল করতে হবে। চার্জশিট দাখিলের পর আদালত অভিযোগ গ্রহণ করবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই লোকপাল পরবর্তী পদক্ষেপ— অর্থাৎ প্রসিকিউশন অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সব মিলিয়ে মহুয়া মৈত্র মামলায় তদন্তের গতি আরও বাড়ল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।




















