কাউকে না জানিয়ে বদলে গেল শতাব্দীপ্রাচীন আইএফএর (IFA) ‘লোগো।’ – বিতর্ক! রীতিমতো বিস্মিত গভর্নিং বডির সদস্যরা। কারণ, গভর্নিং বডির কোনও সদস্যকে কিছু জানানো হয় নি এ ব্যাপারে,অথচ রাতারাতি হয়ে গেল এত বড় পরিবর্তন। কি ব্যাপার? ব্যাপারটি হল ইতিহাস সমৃদ্ধ শতাব্দীপ্রাচীন আইএফএর লোগো বদলে ফেলা হয়েছে। আর তাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন ময়দানের ফুটবল কর্তারা। প্রসঙ্গত,দীর্ঘদিন ধরে আইএফএর এই চিরন্তন লোগোর সঙ্গে অনেকের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। সবাই জানেন, কি হয়েছে।এদিকে,সূত্রের খবর, কীভাবে এর প্রতিবাদ করা যায়, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে,১৭ই এপ্রিল সব অনুমোদিত সংস্থাগুলিকে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় এক চিঠি পাঠিয়েছেন, তাতে ব্যবহৃত হয়েছে আইএফএর চিরন্তন লোগো। সঙ্গে পুরনো লেটারহেড। এমনকি সেখানে সব পদাধিকারীর নাম ও রয়েছে। কিন্তু তিনিই ২৭ শে এপ্রিল প্রিমিয়ার ডিভিশনের যে ক্লাবগুলিকে চিঠি দিচ্ছেন সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের একটি লেটারহেডে। যেখানে আইএফএর আসল লোগো সরে গিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে শতবর্ষের লোগো। অথচ এই ১০ দিনের ব্যবধানে সংস্থার লোগো পরিবর্তনের জন্য কারও থেকে কোনও অনুমতি নেননি তিনি বলেই জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে,আইএফএর সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধায় বললেন, ‘কাউকে কিছু না বলে এভাবে আইএফএর লোগো বদলে দিয়ে রীতিমতো অন্যায় করেছেন সচিব।’ এছাড়া, আইএফএর দীর্ঘদিনের কার্যকরী সম্পাদক, তথা অভিজ্ঞ গভর্নিং বডির সদস্য প্রদীপ বসু বলেন, ‘এভাবে নিজেদের লোগো কিছুতেই বদলে দিতে পারে না আইএফএ।
কারণ, তারা চিহ্ন লোগোটই সরকারি ভাবে নথিভুক্ত করা আছে। সংস্থার লোগো বদলাতে গেলে অনেক অনুমতির প্রয়োজন হয়। সচিব যে লোগোটি ব্যবহার করে চিঠি দিয়েছেন, তা আইএফএর শতবর্ষের লোগো।’এছাড়াও,জানা গিয়েছে এর আগে আইএফএর তরফে পেশ করা পর পর বার্ষিক রিপোর্ট এর প্রথম পাতাতেই ছিল আইএফএর চিরন্তন ‘তারা চিহ্নর’ লোগো।
তাই,ময়দানের প্রশ্ন, “কোন সভায় পাশ করে লোগো বদলালেন সচিব?” যদিও এ বিষয়ে সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘সচিবের হাতে কিছু ক্ষমতা দেওয়া থাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তার মানে এই নয় যে, আইএফএর লোগোই বদলে দেবেন। এটি ভীষণই স্পর্শকাতর ব্যাপার। বহু মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে আইএফের চিরন্তন লোগোর সঙ্গে। এরকম স্পর্শকাতর কিছু বিষয় বদলাতে হলে, গভর্নিং বডির সদস্যদের অনুমতি নিতে হয়। অথচ জয়দীপ কিছুই করেননি। নতুন লোগো দিয়ে নতুন লেটারহেড ব্যবহার করে অত্যন্ত অন্যায় করেছেন সচিব।’ এই প্রসঙ্গে বক্তব্য নেওয়ার জন্য সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।