শতাব্দী প্রাচীন হাওড়ার শিবপুরের হাজারহাত কালী পুজোর আরাধনা

শতাব্দী প্রাচীন হাওড়ার শিবপুরের হাজারহাত কালী পুজোর আরাধনা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া, ১১ নভেম্বর, ২০২০:শতাব্দী প্রাচীন হাওড়ার শিবপুরের হাজারহাত কালী পুজোয় মেতেছে দক্ষিণ ভারতীয়রা । শিবপুর ওলাবিবিতলায় হাজারহাত কালীমন্দিরের সূচনা ১৮৭০ সালে।

ওই এলাকার মুখোপাধ্যায় বাড়ির ছেলে তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মা চণ্ডীর স্বপ্নাদেশে কালীর ওই রূপ দেখতে পান।চন্ডীপুরাণ অনুযায়ী অসুর বধের সময়ে দেবী দুর্গা অনেক রূপ ধারণ করেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম তাঁর হাজার হাতের রূপ। কাত্যায়নী, মহামায়ার পরেই অসুর নিধন করতে আসেন হাজার হাত রূপী মা কালী। চন্ডীর ২২তম অধ্যায়ে উল্লেখ আছে এই রূপের।জানা যায়, মন্দির তৈরির সাধ থাকলেও সামর্থ ছিল না তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের। সেসময়ে মন্দির নির্মাণে এগিয়ে আসেন স্থানীয় হালদার পরিবার। এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন প্রতিষ্ঠা হয় হাজারহাত কালীমন্দির। এখানে বলি প্রথা ছিল না কোনওদিনই।এই মন্দিরে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা, দুপুর ২টা ও রাত সাড়ে ৮টায় পুজো হয় এবং প্রসাদ বিতরণ হয় বিকেলে ও রাতে আরতির পর। নিত্যপূজার পাশাপাশি বুদ্ধ পূর্ণিমায় প্রতিষ্ঠা দিবসে ও কালীপুজোর দিন বিশেষ পুজো হয়। এখনও বংশানুক্রমে এই মন্দিরের সেবায়েত আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যরাই।কথিত, দেবীর হাজার হাত নাকি গোনা যায় না। এক ব্যক্তি তা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। স্থানীয়দের মতে, এই মন্দির খুবই জাগ্রত। ভক্তিভরে কিছু চাইলে মাকালী কাউকে ফিরিয়ে দেন না।এই দেবী নীলবর্ণা। বাহন সিংহের ওপরে তাঁর ডান পা। দক্ষিণ ভারতীয়দের কাছেও এই দেবী পূজিত হন। শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের শুক্রবারে পুজো দেন দক্ষিণ ভারতীয় পরিবার। এখানে দেবীর পুজো হয় তন্ত্রমতে।তবে করোনার কারণে দীর্ঘ ছয় মাস যাবত বন্ধ ছিল মন্দির ।

আরও পড়ুন…সম্পত্তি লিখে না দেওয়ার অভিযোগে বৃদ্ধ বাবা-মাকে অত্যাচার ছেলে-বৌমার

প্রতিবছর কালীপুজোর আগে মায়ের মূর্তি তে নতুন রং করা থাকলেও এবছর অর্থের অভাবে তা করা সম্ভব হয়নি । তবুও কালীপুজোর দিন বিশেষ পূজা উপলক্ষে মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ।  গোটা মন্দির সেনিটাইসজ করার সঙ্গে সঙ্গে পুজো সময় সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রাক্তন পৌর পিতা বিশ্বনাথ দাস মহাশয় ।

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top