বিশ্বজুড়ে শনাক্ত করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা ২৫ কোটি ছাড়িয়েছে। করোনার জেরে বিপযস্ত বিশ্ব। আক্রান্তদের মধ্যে শনাক্তের সংখ্যা নতুন এক মাইলফলকে পৌঁছেছে। প্রথম রোগী শনাক্তের ২২ মাসের মাথায় এই ভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২৫ কোটি। পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশে রেকর্ড প্রাদুর্ভাবের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে শনাক্ত করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা ২৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ডেলটার ঢেউ কমা এবং কয়েকটি দেশে বাণিজ্য ও পর্যটন ফের শুরু হওয়ার পরও শনাক্তের সংখ্যা এ মাইলফলক পার করল। সূত্রের কহবর অনুযায়ী, গত তিন মাসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর গড় সংখ্যা ৩৬ শতাংশ কমেছে, কিন্তু তারপরও ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের কারণে ভাইরাসটি এখনও প্রতি ৯০ দিনে পাঁচ কোটি লোককে আক্রান্ত করছে।
এর বিপরীতে, প্রথম পাঁচ কোটি কোভিড-১৯ রোগীর রেকর্ড হতে প্রায় এক বছর লেগেছিল। টিকা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে কিছু দেশ এরই মধ্যে মহামারির সবচেয়ে কঠিন পর্যায়টি পার করে এসেছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারপরও শীতল আবহাওয়া ও আসন্ন ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন জমায়েতের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা। বিশ্বের ২৪০টি দেশের মধ্যে ৫৫টিতে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই বছর আগে মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় রাশিয়া, ইউক্রেইন ও গ্রিস রেকর্ড পর্যায়ে বা তার কাছাকাছি আছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
আর ও পড়ুন এবার শাহরুখের ম্যানেজারকে ডেকেছে মুম্বই পুলিশ
বিশ্বব্যাপী এখন যত আক্রান্তের খবর আসছে তার অর্ধেকেরও বেশি শনাক্ত হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোতে। এই মহাদেশের মধ্যে পূর্ব ইউরোপে টিকা দেওয়ার হার সবচেয়ে কম। হিসাব অনুযায়ী, এখানে প্রতি চার দিনে ১০ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। কোভিড-১৯-এর কারণে রেকর্ড মৃত্যু প্রত্যক্ষ করছে রাশিয়া। দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চল জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে তারা আরও বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে অথবা কর্মস্থলগুলো বন্ধ করার সময় আরও বাড়াতে পারে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারী’ হিসেবে ঘোষণা করে।