বালিগঞ্জের বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয় ! ফলাফল ঘোষণার পর ২৫ দিন কেটে গেলেও শপথ বাক্য পাঠ করেন নি বাবুল সুপ্রিয়। অবশেষে বুধবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নির্দেশ অনুযায়ী, বাবুলকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন ডেপুটি স্পিকার। বালিগঞ্জের বিধায়ক হিসেবে বাবুল সুপ্রিয় শপথ নিলেন।
এদিকে,অনুষ্ঠান শেষের পর সর্বসমক্ষেই তিনি রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়া জানান যে এক প্রকার বাধ্য হয়েই এই শপথ বাক্য পাঠ করলেন তিনি।প্রসঙ্গত,রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাবুল সুপ্রিয়র শপথের জন্য দায়িত্ব দিয়ে সংবিধানের ১৮৮ ধারার উল্লেখ করেন।
একাধিক ক্ষেত্র থেকে শপথগ্রহণ নিয়ে আপত্তি শোনার পর পালটা সংবিধানের ধারা মনে করিয়ে তিনি টুইট করেন, ”ভারতের সংবিধানের ১৮৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমার ক্ষমতার সীমানার ভিত্তিতে, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি দায়িত্ব দিলাম। তাঁর কাছ থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ১৬১ নম্বর বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী বাবুল সুপ্রিয় শপথগ্রহণ করবেন।” অর্থাৎ রাজ্যপালের মনোনীত ব্যক্তিই শপথবাক্য পাঠ করানোয় দায়িত্ববদ্ধ হলেন।
যদিও,এর আগেও বিধানসভার স্পিকারকে এড়িয়ে ডেপুটি স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব দেওয়ার উদাহরণ ও খাড়া করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বাবুল সু্প্রিয়র শপথেও সেই একই নির্দেশ দেন তিনি। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে দায়িত্ব যায় ডেপুটি স্পিকারের কাছে। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তে আবারও আপত্তি জানিয়েছিলেন উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু কোনও ফল হয় নি।কিন্তু, এদিন বিধানসভায় উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে আসেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি সেসময় নিজের কেবিনেই ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য যে,রাজ্যের মন্ত্রী ও প্রবীণ বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর ১২ই এপ্রিল বালিগঞ্জ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয় এবং ১৬ ই এপ্রিল রেজাল্ট বেরোয়। ফলাফল বেরনোর ২৫ দিন পর বালিগঞ্জের বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সু্প্রিয়।এই শপথ বাক্য পাঠ করানোর পর ডেপুটি স্পিকার উলটে রাজ্যপালের বিরুদ্ধেই আনেন বিভেদের রাজনীতির অভিযোগ।
তিনি বলেন, ”রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের শর্ত মেনেই বাধ্য হয়ে শপথ বাক্য পাঠ করালাম। রাজ্যপাল আমাদের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি করতে চাইছেন। কিন্তু, আমরা সবাই একটি পরিবারের মতোই। আমরা একসঙ্গেই কাজ করব। অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকারকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দেওয়া মানে জেনে বুঝে স্পিকারকে অপমান করা। আমি তা কখনই চায়নি। কিন্তু এতে নির্বাচিত বিধায়কের শপথ আটকেছিল। জনপ্রতিনিধি কাজ করতে পারছিলেন না। তাই এই পদক্ষেপ।”