বিধায়ক হিসাবে শপথ নিলেন মমতা, নিশ্চিত হলো মুখ্যমন্ত্রীর পদ। অবশেষে নিশ্চিত হলো মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক হিসাবে বৃহস্পতিবার শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে শপথ নিলেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থী জাকির হোসেন ও আমিরুল ইসলাম। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে ৭ মিনিটের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। এদিন দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে বিধানসভায় এসে পৌঁছন রাজ্যপাল। তার আগেই বিধানসভায় পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথা মেনে বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করান বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার বা স্পিকার। যদিও এই অধিকার রাজ্যপালের হাতেই থাকে৷ তাঁর অনুমতিতেই দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রোটেম স্পিকার বা স্পিকারকে।
শেষমেশ খোদ রাজ্যপাল শপথ বাক্য পাঠ করান। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জগদীপ ধনখড় দুই জনের মধ্যে সৌজন্য বিনিময়ও হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে অবশেষে সুনিশ্চিত হলো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদ। এদিন তৃতীয়বারের মতো বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিরাপদ হল মমতার। কারণ একুশের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস জিততে পারলেও নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে জিততে পারেননি মমতা বন্দ্যোরাধ্যায়। সেকারণেই উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন তিনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ বাক্য পাঠ করানো অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকলেন বিজেপি বিধায়করা। তবে বিজেপি বিধায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেবল মাত্র মুকুল রায়। আর কেউ এই শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি। উল্লেখ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল জিতলে তিনি বিধানসভায় নিজের পদ ছেড়ে দেবেন। মানে বিরোধী দলনেতার পদ ছেড়ে দেবেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের জন্য। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে পরাজয়ের পরে ভবানীপুরে উপনির্বাচন প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কেন্দ্রে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জয়ী হন তিনি।
আর ও পড়ুন রোজ রাতে বন্ধ থাকবে হোয়াটস অ্যাপ! ভাইরাল এই মেসেজটি কি সত্য? জানুন বিস্তারিত
ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোট দ্রুত করানোর জন্য অতি ততপর ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ বিধায়ক নির্বাচিত না হয়েই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁকে থাকতে গেলে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসতে হয়। তবেই সেই পদে তিনি থাকতে পারেন। সেকারণেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের বাকি কেন্দ্রগুলিতে পুজোর পরে ফের উপনির্বাচন। আরও ৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে অন্যতম খড়দহ। কারণ সেই কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।