বরানগর নাগরিক মঞ্চের তরফে কবিগুরুর প্রয়ান দিবসে “শশীভিলাকে” হেরিটেজ মর্যাদা দেবার দাবি

বরানগর নাগরিক মঞ্চের তরফে কবিগুরুর প্রয়ান দিবসে “শশীভিলাকে” হেরিটেজ মর্যাদা দেবার দাবি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বরানগর নাগরিক মঞ্চের তরফে কবিগুরুর প্রয়ান দিবসে “শশীভিলাকে” হেরিটেজ মর্যাদা দেবার দাবি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি,সোমবার বরানগরের গোপাল লাল ঠাকুর রোডের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজোরিত “শশী ভিলা” নামক বাড়িটির সামনে বরানগর নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের তরফ থেকে কবিগুরুর প্রয়ান দিবস অর্থাৎ ২২ শে শ্রাবণ অনুষ্ঠান যাথাযত মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হল।

 

এদিনের অনুষ্ঠান থেকে প্রতিরোধ মঞ্চের তরফে ভগ্নদশা প্রাপ্ত ঐতিহাসিক “শশীভিলা” বাড়িটিকে অবিলম্বে হেরিটেজের মর্যাদা দেবার জোরালো দাবিও তোলা হয়। এই অনুষ্ঠানে এলাকার শিক্ষক, অধ্যাপক, উকিল,চিকিৎসক, কবি সাহিত্যিক সহ বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কবিগুরুর ছবিতে মাল্যদান করা ছাড়াও দাবি পত্রে স্বাক্ষরও করেন। এদিন অনুষ্ঠান শেষে বরানগর নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের পক্ষ থেকে বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য বলেন,পরাধীন ভারতে এই বাড়িটিতেই থাকতেন প্রখ্যাত বিঞ্জানী প্রসান্ত চন্দ্র মহলানবীশের মত ব্যাক্তিত্ব।

 

সেই সময় “শশী ভিলায়” মাঝে মধ্যেই এসে থাকতেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই বাড়িটিতে থাকাকালীন তিনি বেশ কয়েকটি কবিতাও লিখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কবিতা হল,রঙ রোজিনী,স্নান সমাপন,নিহারীকা,মাতা,দ্বৈত,শেষ প্রহর উল্লেখযোগ্য। ১৯৩১ ও ১৯৩৬ সালে এখানেই কবিগুরুর জন্মদিন পালন হয়।তার দাবি,এই বাড়িটি বরানগর তথা রাজ্যের একটি ঐতিহ্যবাহি স্থান। দুঃখের বিষয় স্বাধীন ভারতে কোন সরকারই বাড়িটিকে রক্ষনাবেক্ষন করে সংরক্ষণের চেষ্টাই করেনি। তাই এটি আজ ভগ্নদশা প্রাপ্ত। দীনেশচন্দ্র বাবু আরও বলেন,নাগরিক হিসেবে বরানগরের এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করা আমাদের কাজ।

আরও পড়ুন – দশম অনূর্ধ্ব-১৩ সাব-জুনিয়র স্টেট বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ঘোষণা করলো আলিপুর স্পোর্টস ক্লাব

তাই আমরা বরানগর নাগরিক মঞ্চের তরফ থেকে দাবি তুলছি,অবিলম্বে ঐতিহ্য বাহি “শশীভিলাকে” হেরিটেজের মর্যাদা দেওয়া হোক। ইতিমধ্যেই এই দাবিকে সামনে রেখে বিশিষ্ট জনেদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমাদের এই দাবিকে সমর্থন জানানোর জন্যে এলাকার প্রত্যকটি স্কুল,কলেজ ও ক্লাবের কাছে আবেদন জানাব। স্বাক্ষর করা দাবি পত্র আমরা অতি শীঘ্র বরানগর পুরসভার পৌরপ্রধান অপর্না মৌলিকের হাতে তুলে দেব। পাশাপাশি পৌরসভাকে এব্যাপারে উদ্যোগী হবার আর্জি জানাবো। তাছাড়া স্থানীয় বিধায়ক তাপস রায় ও সাংসদ সৌগত রায়ের হাতে প্রতিনিধি মুলক স্বারকলিপি তুলে দেব। যাতে তারা রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের এই দাবি পৌঁছে দেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top