শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে এবার ফ্লাইওভার? রায়গঞ্জে এল রেলের ইঞ্জিনিয়াররা

শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে এবার ফ্লাইওভার? রায়গঞ্জে এল রেলের ইঞ্জিনিয়াররা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে এবার ফ্লাইওভার? রায়গঞ্জে এল রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। রায়গঞ্জ শহরের মাঝ বরাবর পূর্ব পশ্চিমে বিস্তৃত রয়েছে কাটিহার রাধিকাপুর রেললাইন। এই লাইনে যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন হয় নিয়মিত। এরকম পরিস্থিতিতে, রায়গঞ্জ শহরে প্রতিদিন গড়ে ১৬ বারের বেশি রেলগেট ওঠানামা করে। সবমিলিয়ে দিনে ৬ ঘন্টা বন্ধ থাকে শহরের যান চলাচল।

 

স্বাভাবিকভাবেই শহরে তৈরি হয় যান যন্ত্রণা। এই যন্ত্রণায় পথে আটকে পড়ে রোগী, পথযাত্রী, স্কুল কলেজের পড়ুয়া, ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ। এই যান যন্ত্রণা থেকে মুক্তির দাবিতে বহুদিন ধরেই একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করার দাবি তুলেছিল ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে সাধারণ মানুষ। বারংবার আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হয়নি কোনো সার্ভে, হয়নি কোনো পরিকল্পনা। এদিন রায়গঞ্জ লোকসভার সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর উদ্যোগে নতুন ফ্লাইওভারের পরিকল্পনা ও সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে রায়গঞ্জে এল কাটিহার ডিভিশনের রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের এক প্রতিনিধি দল। রেলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রায়গঞ্জের বহু সাধারণ মানুষ।

 

এদিন রায়গঞ্জ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ী বলেন, এর আগে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে গনকনভেনশন করা হয়। কিন্তু শহরের মূল যানজট সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। এদিন সাংসদ রেলের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দিয়ে যে পরিদর্শন করালেন, তাতে আশা করছি ফ্লাইওভারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেল। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, আমাদের রায়গঞ্জ সারা ভারতের সাথে রেলপথে জুড়বে।

 

আরও নতুন ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। তাই শহরের সড়ক পথে চলাচলকারীদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য ফ্লাইওভার জরুরি। তাই রেলের ইঞ্জিনিয়াররা পরিদর্শনে এসেছেন। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে ডিপিআর জমা দিতে পারবে। তাহলে ফেব্রুয়ারিতে রেল বাজেটে এই ফ্লাইওভারের পরিকল্পনা পাশ করানো সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন – ছয় বাংলাদেশীকে গ্রেপ্তার করলো সুতি থানার পুলিশ

এদিকে, রায়গঞ্জের সাংসদের এই কাজকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা রায়গঞ্জ পৌরসভার যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। সেজন্য ফ্লাইওভারের দাবি আমরাই প্রথম থেকে করে আসছি। সেজন্য দুদিন আগেই কাটিহার ডিভিশনের আধিকারিকের সাথে দেখা করি। ওনারা আমাদের দাবি মেনেই আজ পরিদর্শনে এসেছেন। আমরা শহরের মানুষের স্বার্থে কোনো রাজনীতি চাই না। রেলকেই ফ্লাইওভার তৈরি করে দিতে হবে।

 

এরপর, রেলের আধিকারিকেরা যান সীমান্ত রেলস্টেশন রাধিকাপুর ও কালিয়াগঞ্জে। দেবশ্রী জানান, কালিয়াগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী মেনে ২ নং প্ল্যাটফর্মে শেড বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত আলোর বন্দোবস্ত করা এবং রাধিকাপুরে চার ও পাঁচ নম্বর লাইন, বাঙালবাড়িতে একটি লুপলাইন বৃদ্ধি সহ অনান্য বিষয়ে রেল আধিকারিকের সাথে পরিদর্শন করা হয়। আশা রাখছি, খুব তাড়াতাড়ি এই কাজ আরম্ভ করাতে পারব।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top