ফের শান্তিপুর পৌরসভা চালু হতে চলেছে “প্লাস্টিক বিরুদ্ধ অভিযান”

ফের শান্তিপুর পৌরসভা চালু হতে চলেছে “প্লাস্টিক বিরুদ্ধ অভিযান”

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ফের শান্তিপুর পৌরসভা চালু হতে চলেছে “প্লাস্টিক বিরুদ্ধ অভিযান”। প্লাস্টিক বর্তমানে পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। আর তাই পরিবেশ দূষণের হাত থেকে শান্তিপুর কে বাঁচিয়ে নাগরিকদের ভালো রাখতে, এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল শান্তিপুর পৌরসভা। সামনেই নববর্ষ। আর তাই শান্তিপুর পৌরসভার উদ্যোগে ফের চালু হতে চলেছে প্লাস্টিক বিরুদ্ধ অভিযান। সূত্রের খবর, এর আগে শান্তিপুর পৌরসভার বহুদিনের পৌর পিতা প্রয়াত অজয় দে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু, দীর্ঘ প্রায় দু’বছর পৌর শাসনকার্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় পৌরসভার পক্ষ থেকে ধারাবাহিকতার সাথে প্লাস্টিক অভিযান ব্যাহত হয়।

 

এছাড়াও, এই অভিযানে বাধা হয়ে উঠেছিল করোনা। কারণ, সাধারণ মানুষ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যোগাযোগ বিহীন ছিলেন। এছাড়া,রোজগারহীন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই তারা জীবন যাপন করছিলেন। তাই সে সময় নিয়মকানুন অনেকটাই শিথিল করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে,সবকিছু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসছে দ্রুত।আর তাই আবার নিয়মিত প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান চালু করতে চলেছেন শান্তিপুর পৌরসভা । বিষয়টি নিয়ে পুরপ্রধান সুব্রত ঘোষ বলেন, “বেশকিছু পৌরসভা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আর ও  পড়ুন  হলদিয়ার কারখানায় আগুন   

প্রাথমিকভাবে আমরাও শান্তিপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে সকলকে বোঝানোর প্রক্রিয়া চালাবো। এজন্য নাগরিকদের বিশেষ সচেতনতা শিবির এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং আয়োজন করা হয়েছে। তবে এর পরেও যদি অগ্রাহ্য করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য থাকবো। পৌরসভার সাফাই কর্মীদের প্রচন্ড অসুবিধার মধ্যে কাজ করতে হয় এই প্লাস্টিক ড্রেনে জমার ফলে, নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, ব্যাহত হয় নাগরিক পরিষেবা। তাই নাগরিকদের কথা মাথায় রেখে এবং সর্বোপরি পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে এই সিদ্ধান্ত।”

 

সূত্রের খবরে জানা গেছে যে,এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বহু সামাজিক সংস্থা পরিবেশ কর্মী এবং বিজ্ঞান কর্মীরা। এছাড়াও,বিভিন্ন বাজার কমিটির পক্ষ থেকে মেনে চলার সম্মতি জানানো হয়েছে।জানা গেছে,ই ধরনের প্লাস্টিক কারখানা গুলির উপর বিধিনিষেধ আনা এবং সেখান থেকে পাইকারি ক্যারি ব্যাগ বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে তা আরো বেশি ফলপ্রসূ হবে বলেই মনে করেছেন তারা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top