উৎসবের মেজাজে দিনভর শান্তিপূর্ন ভোটের সাক্ষী শিলিগুড়ি। বিচ্ছিন্নভাবে গুরু শিষ্যের অশান্তির ছক বাঞ্চাল করে গৌতমের শান্তি প্রতিষ্ঠার মন্ত্রে অনড় তৃণমূল। উৎসবের মেজাজে দিনভর অবাধ শান্তিপূর্ন ভোটের সাক্ষী শিলিগুড়ি। বিচ্ছিন্নভাবে গুরু শিষ্য অশোক শঙ্করের অশান্তির ছক বাঞ্চাল করে গৌতমের শান্তি প্রতিষ্ঠার মন্ত্রে অনড় থেকে নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণতা বহাল রেখে ভোট সম্পন্ন করলো তৃণমূল।
ভোটদানের প্রথম প্রহর থেকেই তৃনমূলের জয়ের গন্ধ ভাসছে শহরের বাতাসজুড়ে। দিনান্তে সেই গন্ধ তীব্রতর হয়ে ক্রমশ শিলিগুড়ির লাল মাটিতে ঘাসফুলের ফলন নিশ্চিত করলো। দিন শেষে ৪০এর বেশী আসন নিয়ে বোর্ড গড়ছে তৃনমূল আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি পুরো নির্বাচনে তৃনমূলের মুখ গৌতম দেব।
শনিবার শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়েই দিনটা শুরু করেছিল দর্জিলিং জেলা তৃণমূল। বিপক্ষে বিজেপি শিবিরের শত উস্কানির পরও শীতের আমেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন তৃনমূলের তিন হেভওয়েট প্রার্থী গৌতম দেব রঞ্জন সরকার ও কুন্তল রায়। আর দিনের শেষে শহরের শান্তিপূর্ণ ভোট সংগঠিত হয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা।
দার্জিলিং জেলা শাসক জানান শিলিগুড়ি শহরের অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটের লাইনে ভিড় ছিল। যার কারণে বিকেল পাঁচটার পরও বেশকিছু বুথে টোকন বিতরণ করে ভোট দানের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে দিনভর ভোটকে কেন্দ্র করে লাগাতার শহরের হওয়া গরমের চেষ্টা করেন বিজেপি ও দোসর বামেরা। এদিন শিলিগুড়ি বিজেপি বিধায়ক তার নির্বাচনী ক্ষেত্র ২৪নাম্বার ওয়ার্ডে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে লাগেন পুলিশ তাকে বাধা দিতেই পুলিশের বিরুদ্ধে তাকে বুথ থেকে বেড়ে করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে অশান্তির ছক কষেন তিনি।
উত্তপ্ত করার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রশাসনের হাতে বিষয়টি ছেড়ে দেয় তৃনমূল। আবার অশোক ভট্টাচার্য্য তার নিজ নির্বাচনী ক্ষেত্র ৬নাম্বার ওয়ার্ডে কংগ্রেস বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে দুপুর ১২টা নাগাদ অশান্তির ছক কষেন। বহিরাগতদের দিয়ে ভোট পর্ব চালানো হচ্ছে বলে মিথ্যে গ্যাস বেলুন ফুলিয়ে ভোট প্রক্রিয়া ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন তবে তা ধোপে টেকেনা।
আরও পড়ুন পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ভুতুড়ে শহর কার্শিয়াং !
শিলিগুড়ির আনন্দময়ী কালীবাড়িতে পুজো করে ভোট পর্ব শুরু করেন রাজ্যের প্রাক্তণ মন্ত্রী তথা প্রার্থী গৌতম দেব। নিজ ১৭নাম্বার ওয়ার্ডের কলেজপাড়ার বুথে সকাল ৮টা নাগাদ ভোট দান করেন তিনি। সেখানেই তিনি জানান এটা গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ উৎসব। শিলিগুড়িতে তৃনমূল ক্ষমতায় এসে ২০১১সাল থেকে প্রথম শান্তিপূর্ন ভোটের পরম্পরা তৈরী করেছি। ১৯৯৪ এর বাম আমলে নির্বাচনের আগের দিনে খুন হয় উদয় চক্রবর্তী। সেই রক্তাক্ত ইতিহাস আজো ভুলিনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর থেকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে সে নৈতিকতার শিক্ষাই আমাদের নেত্রী দেন।
বিরোধীরা কোনো অশান্তির চেষ্টা করলে পুলিশ ও আইন ব্যবস্থা নেবে। মাথা নিচু করে মানুষকে ভোট দানের আবেদন করেছি, আমরা চাই সকল মানুষ গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ উৎসবে অংশ নিয়ে নিজ অধিকার প্রয়োগ করুন। আর দিনশেষে শহরের শান্তিপূর্ণ ভোটের টার্গেট জয়ের পর তিনি বলেন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। তারজন্য শিলিগুড়ির মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। সারাদিন নির্বাচনী ক্ষেত্র নির্বাচনী ক্ষেত্র ৩৩নাম্বার ওয়ার্ডে ছিলাম। সবকটি বুথ ঘুরেছি। ভোট শান্তিপূর্ণ হওয়া মানেই তৃণমূলের জয়। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭টির মধ্যে ৪০টির বেশী আসনে জোড়াফুল জয় হবে।