শাসনের তৃণমূল নেতাকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করলো এস টি এফ ও পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থানার অন্তর্গত শাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেওপুকুর গ্রামের বাসিন্দা তৃনমুল নেতা শুকুর আলিকে ১লা নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে এসটিএফের একটি দল ও শাসন থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে গ্রেপ্তার করে তার বাড়ী থেকে। তার কাছ থেকে পাওয়া যায় ৫৬টি কার্তুস সহ পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ কেজি বোমা তৈরির মশলা। এই তৃণমূল নেতা শুকুর আলি শাসন অঞ্চলের পাঁচজনের একজন তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক বলে জানা যায়।
তার কাছ থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও বোমা তৈরির মসলা উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য। পরিকল্পনা করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি বারাসাত ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সোমনাথ ঘোষের। তৃণমূল নেতা শুকুর আলিকে গ্রেপ্তার করায় ক্ষোবে প্রতিবাদে ফেঁটে পড়ে শাসন অঞ্চলের দলীয় কর্মী সমর্থকরা। গ্রেফতারের প্রতিবাদে শাসনের বোয়ালঘাটা রোডের সরদার আটিতে অবরোধ করে রাস্তার উপরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় দলীয় কর্মী সমর্থকরা।
ঘন্টাখানেক অবরোধ চলবার পর ঘটনাস্থলে শাসন থানার পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। অবরোধ বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য অনৈতিকভাবে তাদের নেতা শুকুর আলিকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। তবে জানা যায় তৃণমূল নেতা শুকুর আলী এলাকায় বেশ প্রভাবশালী। মাটি কারবারের সাথে যুক্ত। বাম আমলেও এই শুকুর আলীর বেশ প্রভাব ছিল শাসনে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসবার পরে তৃনমুল দলে তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে শাসনে।