শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে তৃণমূলের সভা। বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারে সোনার দোকানে ডাকাতের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে শিলিগুড়িতে যুব ও মহিলা তৃণমূলের সভায় যোগ দিল দিনহাটা সহ কোচবিহার জেলার বিভিন্ন মহকুমা থেকে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক।
শনিবার শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।দিনহাটা ও সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও জেলার তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙ্গা, কোচবিহার সদর সহ বিভিন্ন ব্লক থেকে এই কর্মী সমর্থকরা ছোট ও বড় বেশ কয়েকটি গাড়িতে করে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তৃণমূলের দিনহাটা দুই ব্লক সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য, যুব তৃণমূলের সিতাই ব্লক সভাপতি বিশু রায় প্রামানিক, মহিলা তৃণমূলের দিনহাটা দুই ব্লক কমিটির মমতাজ বেগম, মুক্তি রায়, বড়শাকদল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাপস দাস ,
দিনহাটা এক এ ব্লকের মজনু ইসলাম মিয়া , দিনহাটা এক বি ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি বাপি রহমান, দিনহাটা ভিলেজ এক অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি মহাদেব সাহা, প্রমুখের নেতৃত্বে মহিলা ও যুব কর্মী সমর্থকরা এ দিন শিলিগুড়িতে যায়।দিনহাটার সুভাষ ভবনের সামনে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন গাড়িতে তুলে দেন তৃণমূল নেতা দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশংকর মাহেশ্বরী, তৃণমূলের দিনহাটা শহর ব্লক সভাপতি বিশু ধর। এছাড়াও শহরের পাঁচ মাথার মোড় থেকে দিনহাটা এক এ ব্লকের যুবকর্মী সমর্থকরা মজনু ইসলামের নেতৃত্বে শিলিগুড়ি উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশংকর , তৃণমূলের দিনহাটা দুই ব্লক সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য , বিশু ধর , বিশু রায় প্রামান জানান, দিনহাটা ও সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় তিন হাজার কর্মী সমর্থক শিলিগুড়ির সভায় যোগ দেয়। এর মধ্যে দিনহাটা দুই ব্লক থেকেই প্রায় হাজার দুয়েক মহিলা ও যুবকর্মী রয়েছে। বিজেপি বুঝে যাবে মহিলারা কিভাবে দলে দলে শিলিগুড়ির সভায় যোগ দেয় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবিতে।
যুব তৃণমূলের মজনু ইসলাম মিয়া, সিতাই ব্লকের বিশু রায় প্রামাণিক জানান, বাংলাভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে এবং সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্তের দাবিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুব ও মহিলা কর্মীরা সভায় অংশ নিতে শিলিগুড়িতে যায়। যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি কমলেশ অধিকারী জানান, শিলিগুড়ি সভায় জেলার বিভিন্ন মহকুমা থেকে দশ হাজারেরও বেশি কর্মী সমর্থক অংশ নেয়।