রাজ্যের শিল্প সম্মেলন নিয়ে কি আশার আলো দেখতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী? বিশ্ববাংলা কনভেনশন কেন্দ্রে ২০ এবং ২১ এপ্রিল বসেছে রাজ্যের শিল্প সম্মেলন বিজিবিএসের আসর। সূত্রের খবর,সম্মেলনের প্রথম দিন থেকেই একের পর এক শিল্প প্রস্তাব এসেছে রাজ্যের কাছে।
প্রসঙ্গত,এই শিল্পপতিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুখ ছিলেন গৌতম আদানি, সজ্জন জিন্দল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কারা। এছাড়া,ব্রিটেন থেকে এসেছেন শিল্পপতিদের একটি বিরাট প্রতিনিধি দল। এই পরিস্থিতিতে সম্মেলনের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগের প্রস্তাব এল।
সেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম নাম চিকিত্সক দেবী শেঠি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি আস্থা দেখিয়ে আরও ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চান নারায়না গ্রুপের চেয়ারম্যানের, একইসঙ্গে রাজ্যে গড়তে চান আরও একটি হাসপাতাল বলেও জানা গিয়েছে।বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার শিল্প সম্মেলনে নারায়না গ্রুপের চেয়ারম্যান দেবী শেঠি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের প্রশংসা করে বলেন, ”আমি নিশ্চিত আমাদের পরিষেবা বাংলায় আরও বাড়ানো উচিত্। আমরা এখানে আরও একটি হাসপাতাল গড়তে চাই। জমির জন্য অপেক্ষা করছি। অন্তত এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। রাজ্যকে এ বিষয়ে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে,সূত্রের খবর বলছে, নারায়না গ্রুপের ১০০০ কোটি ছাড়াও আরও ৩৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। এর মধ্যে অ্যাপোলো হাসপাতাল গ্রুপ এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ও রাজ্যের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল সংস্থা তাদের তরফে বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে রাজ্যকে বলে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে কিছু পর্যালোচনা করার কথা বলেছে। অন্যদিকে, অ্যাপোলো গ্রুপের তরফ থেকে কিছু পর্যালোচনা করার কথাও বলা হয়েছে। অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাটানগরে আরও একটি হাসপাতাল সহ মেডিক্যাল কলেজ করার কথা জানিয়েছে রাজ্যকে।
এছাড়া Healthworld হাসপাতাল গ্রুপের তরফে ৪৫০ কোটি, চার্ণক হাসপাতালের তরফে ২৫০ কোটি টাকা, মেডিকা হাসপাতালের তরফে ৩৮০ কোটি টাকা, JIS গ্রুপের তরফে ১০০০ কোটি টাকা ও উডল্যান্ড হাসপাতালের তরফে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানানো হয়েছে।এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে,শিল্প সম্মেলনের প্রথম দিনই বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ শিল্পপতিরা। বুধবার শিল্প সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সজ্জন জিন্দল।তিনি বলেন, ”পরিকাঠামো ও ভৌগোলিক অবস্থানের জেরে বাংলায় বিনিয়োগ করতে সুবিধা হয় ও এখানে রয়েছে শিল্পের আদর্শ পরিবেশ।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমার কাজ করতে কোনও কর্মদিবস নষ্ট হয়নি। আগেকার মতো অবস্থা এই রাজ্যে আর নেই। ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কেন্দ্র আমরা গড়ছি।” এছাড়াও, এই সম্মেলনে আদানি গ্রুপের চেয়ারপার্সন গৌতম আদানির সঙ্গেও বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পর সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময়ে রাজ্যের বিপুল প্রশংসা করেন আদানি এবং বাংলায় যে তারা বিপুল বিনিয়োগ করতে চলেছেন তাও জানান।