রাজ্য – একাধিক রাজ্যে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য আগে থেকেই সতর্কতা জানিয়েছে। ‘বেঙ্গল কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন’ (BCDA) ‘কোল্ডরিফ’ কাফ সিরাপ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনও ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশ দিয়েছে।
নতুন নির্দেশিকার আওতায়, ওষুধ বণ্টনের আগে প্রতিটি ব্যাচের মান যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পূর্বে ব্যাচ পরীক্ষা ওষুধ বণ্টনের পর করা হতো। তবে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের শিশু মৃত্যুর ঘটনা শিক্ষার জায়গা হিসেবে রেখে এবার প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি পরিবর্তন করা হয়েছে। সরকারি সরবরাহের সময় বেসরকারি ভেন্ডার সংস্থাকে NABL-স্বীকৃত ল্যাব থেকে পরীক্ষিত মানের সার্টিফিকেট দিতে হবে। সার্টিফিকেট ছাড়া ওষুধ সরকারি হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাবে না এবং SMIS-এ অন্তর্ভুক্ত হবে না।
রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য প্রশাসনকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে মজুত ওষুধের এক্সপায়ারি ডেটসহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেয়াদের মধ্যে থাকা ওষুধ দ্রুত ব্যবহার করতে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বাতিল করতে হবে। ১৬ অক্টোবরের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে।
মধ্যপ্রদেশে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ‘কোল্ডরিফ’ কাফ সিরাপের ভূমিকা সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও ওই রাজ্যে বিতরণ হওয়া ব্যাচটি পশ্চিমবঙ্গে আসেনি, তবুও নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্যে বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিসিডিএ জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ব্যাচ রাজ্যে প্রবেশ করেনি, কিন্তু সমস্ত বিক্রেতাকে বিক্রি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী কাফ সিরাপ প্রস্তুতকারক তামিলনাড়ুর একটি ওষুধ কোম্পানি। কোম্পানির মালিক ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।
