শিশু জন্ম গ্রহণের পরই শ্রবণ ক্ষমতা পরীক্ষায় ওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা

শিশু জন্ম গ্রহণের পরই শ্রবণ ক্ষমতা পরীক্ষায় ওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

শিশু জন্ম গ্রহণের পরই শ্রবণ ক্ষমতা পরীক্ষায় ওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। ভূমিষ্ঠ শিশুর ক্ষেত্রে ওটোঅ্যাকোস্টিক এমিশন টেস্ট আবশ্যিক করার পরামর্শ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইএনটি বিভাগীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বর্তমানে ভূমিষ্ঠ শিশুর ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এই স্ক্রিনিং টেস্ট। আগামী দিনে ককলিয়া প্রতিস্থাপন চিকিৎসা চালু নিয়েও ভাবছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।

 

তথ্য পরিসংখ্যান বলছে ভারতে সদ্যজাত শিশুদের মধ্যে জন্মগত বধিরতার সমস্যার দ্রুত শনাক্তকরণের মাধ্যমেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক শ্রবণ ক্ষমতা ফেরানো সম্ভব হয়েছে।নবজাতকের ককলিয়া প্রতিস্থাপন করেই জটিল সমস্যায় এসেছে সফলতা। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিত্যদিন গড়ে পাঁচটি শিশু বধিরতার সমস্যায় নিয়ে চিকিৎসা জন্য আসে।গড়ে চার থেকে পাঁচজন নবজাতকদের নিত্যদিন প্রথম পর্যায়ে ওটোঅ্যাকোস্টিক এমিশন টেস্ট করিয়ে শনাক্ত করা হয়। সেক্ষেত্রে শিশুর ১ ও ২বছর বয়সী হলে বেড়ে যায় চিকিৎসা জনিত জটিলতা।

 

রাজ্যের শিশু বধিরতার হার কমাতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ইতিমধ্যেই শিশু জন্মগ্রহণের পরই প্রত্যেকের শ্রবন ক্ষমতা পরীক্ষা আবশ্যিক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের বিশ্ব বধির দিবস পালনের মধ্য দিয়ে মেডিকেলের ইএনটি বিভাগের সভাকক্ষে একটি বিস্তারিত সচেতনতা মূলক অলোচনাসভা চলে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নাক কান গলার ইএনটি বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক ও এইচওডি ডাঃ রাধেশ্যাম মাহাতো, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা এবং ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত সহ অন্যান্য চিকিৎসকেরা।

 

ইএনটি বিভাগীয় চিকিৎসক রাধেশ্যাম মাহাতো জানান শিশুর জন্মের পর যত দ্রুত সম্ভব ওটোঅ্যাকোস্টিক এমিশন স্ক্রিনিং টেস্ট করে শিশুর বধিরতার সমস্যা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। স্ক্রীনিংয়ে সমস্যা নজরে এলে দ্রুততার সঙ্গেই ব্রেইন স্টেন ইভক রেসপন্স অডিওমিটার পরীক্ষা করে চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে আনা হয় শিশুকে। অনেক সময়তে গর্ভাবস্থায় মায়ের জটিল সমস্যা, এছাড়া শিশুর জন্মের পর জন্ডিস, নাক কানের আকৃতি কিছুটা ব্যতিক্রমী হলে দ্রুত টেস্ট করাতে হবে। তবে বহির্বিভাগে অভিভাবাকেরা প্রায় ২-৩মাস কিংবা কখনও তারও বেশি বয়সের শিশুদের এ ধরনের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসছেন।

 

সেক্ষেত্রে ইএনটি বিভাগীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর এ বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। সেখানে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র সর্বত্র স্ক্রিনিং টেস্ট ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। কারন শিশুর মাসের হিসেবে বয়সের সঙ্গেই বাড়বে জটিলতাও। পরবর্তীতে শিশুর কথা বলা, বা শব্দ ফোঁটার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দেবে। ডিস্ট্রিক্ট আর্লি ইন্টারভেনশন সেন্টারের মধ্য দিয়েও স্ক্রিনিং টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যদিকে শিশুর ককলিয়া প্রতিস্থাপন অন্যতম বধিরতা চিকিৎসা পদ্ধতি।আগামীতে মেডিকেলে একটি ককলিয়া প্লান্ট চালুর ভাবনা চিন্তাও রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top