শুকনা বন বাংলোতে আসতেন বিশিষ্ট বিখ্যাত ব্যক্তিরা। শিলিগুড়ি থেকে দাগাপুর হয়ে শুকনা যেতে হয়। এখানকার বিশেষ আকর্ষণ বন বাংলো। অনেকেই বলেন এই বাংলোর বয়স ১০০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। দার্জিলিং কার্শিয়াং যাওয়ার পথে শুকনায় অবস্থিত এই বাংলো দেখতে পান পর্যটকরা। সংশ্লিষ্ট এলাকায় হিমালয়ান রেলওয়ে টয় ট্রেনের লাইন পার করে কিছুটা এগিয়ে জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে এই বাংলো। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার এই বাংলায় এসেছেন।
হেরিটেজের তাকমা দাওয়াই যেতে পারে। আশেপাশের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর, ভুবন মোহিনী পরিবেশ মন মুগ্ধ করে দেয়। ইতিহাসের পাতায় পাওয়া যায় চা বাগান রক্ষণাবেক্ষণ করবার জন্য ব্রিটিশরা এই বাংলো নির্মাণ করেছিলেন। তবে স্বাধীনতা লাভের পর সম্পূর্ণ বনদপ্তর এর আওতায় চলে আসে এই বাংলা। বাংলোর লোহার গেট ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলে দেখতে পাওয়া যাবে সুন্দর একটি বাগানের। যেই বাগানে বিভিন্ন ফুলের গাছ লক্ষ্য করা যাবে।
এই বাংলায় রয়েছে একটি ফটো ফ্রেম, যেখানে বিখ্যাত বিখ্যাত ব্যক্তিদের স্বাক্ষর রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু, ডঃ বিধানচন্দ্র রায়। বাংলার পাশে যে জঙ্গল রয়েছে তা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে। যাতে এই জঙ্গল বেশি করে উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা তাই আধুনিকতার ছোঁয়া দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একসময় এই বাংলোতে এসে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা থাকতেন, সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে শুকনার এই বন বাংলো প্রাচীনকাল থেকেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। হিমালয়ান রেলওয়ে তরফ বড়দিন উপলক্ষে শিলিগুড়ি জংশন থেকে শুকনা পর্যন্ত টয় ট্রেন চালানো হবে চলতি বছরের শেষ কয়েকদিন ও নতুন বছরের শুরু কয়েক দিন।
বিকেল পাঁচটার সময় শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়বে পৌছাবে শুকনা স্টেশনে সন্ধে ছটার সময়। সেখানে যাত্রীদের জন্য টিফিনের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে এ ছাড়া থাকবে সেলফি তোলার ব্যবস্থা। আবার ৬;৩০এর সময় শুকনা স্টেশন থেকে টয় ট্রেন ছেড়ে শিলিগুড়ি জংশনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে, পৌছবে ৭:৩০ সময়। স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে টয় ট্রেনের মজা উপলব্ধি করতে পারেন তার জন্যই ব্যবস্থা। সুতরাং বলা যেতেই পারে সামনেই বড়দিন তাই শুকনা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।