রাজ্য – সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারানোর পর নতুন করে পরীক্ষার দীর্ঘ পথ পেরিয়ে অবশেষে আশার আলো দেখতে চলেছেন এসএসসি (School Service Commission)-র প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রকাশিত হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল। এসএসসি-র ওয়েবসাইটেই ফল দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, কেন ক্লাস নাইন-টেনের ফল নয়, শুধু একাদশ-দ্বাদশের ফল প্রকাশ করা হচ্ছে? কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু একাদশ-দ্বাদশ স্তরে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, তাই এই পর্যায়ের প্রক্রিয়াটি আগে সম্পন্ন করে পরে নবম-দশম শ্রেণির ফল প্রকাশ করা হবে।
সূত্রের খবর, আটজন প্রার্থীর নথি বর্তমানে যাচাই করছে এসএসসি। তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। সেই অভিজ্ঞতার দশ নম্বর তাঁদের ফলাফলে যোগ হবে কিনা, তা নিশ্চিত করতে চায় কমিশন। ফলে ফল প্রকাশের আগে চলছে খুঁটিনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
এই পর্যায়ে মোট শূন্যপদ রয়েছে ১২,৫১৪টি, আর দুটি স্তর মিলিয়ে মোট শূন্যপদ ৩৫,৭২৬টি। একাদশ-দ্বাদশ পর্যায়ে আবেদন করেছিলেন ২,৪৬,৫৪৩ জন প্রার্থী, যার মধ্যে ৩,১২০ জন বিশেষভাবে সক্ষম। কমিশন সূত্রে খবর, প্রতি ১০০টি শূন্যপদের জন্য ১৬০ জন প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে। অর্থাৎ, প্রায় ৬০ হাজার প্রার্থী পরবর্তী ধাপে ডাক পাবেন।
নিয়ম অনুযায়ী নথি যাচাই কেন্দ্রীয়ভাবে হলেও ইন্টারভিউ হবে আঞ্চলিকভাবে। এবারে পরীক্ষার্থীদের মতে, প্রশ্নপত্র ছিল তুলনামূলকভাবে মানসম্মত ও স্বচ্ছ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে হাজারো চাকরিহারা ও চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণের দিকে তাকিয়ে থাকবে রাজ্য জুড়ে সব মহল।




















