
দিদি ভবানীপুরে হেরে যাবে, শুভেন্দু কেন বললেন? পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নিমতৌড়িতে বিজেপির এক কর্মসূচিতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’কে চড়া সুরেই নিশানা করেন রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, ” নন্দীগ্রামে হারিয়েছি চিন্তা করবেন না ভবানীপুর ও হারাবো। নন্দীগ্রামে জাহাজ বাড়ির মালিক বলেছিলেন ৮০ হাজার ভোটে আপনাকে জিতাবে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন নন্দীগ্রামে কি অবস্থা হয়েছে। পায়ে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে কি কান্ড সবাই দেখেছে নন্দীগ্রামে।
তারপরেও আমি ওখানে জিতেছি। পাশাপাশি তিনি শ্লোগান তুলে বলেন,”বেকারত্ব ঘরে ঘরে- দিদি হারবে ভবানীপুরে”। ভোট দিতে পারলেই মানুষ প্রস্তুত। ভবানীপুরের ভোটারদের বাড়ি আসতে হবে।তাছাড়া তালিবানি রাজত্ব থেকে বাঁচতে হলে পদ্মফুলে ভোট দিতে হবে।
আর ও পড়ুন অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরের ভিডিও দেখলে আপনি এই সুবিধা পাবেন
এই লড়াই মর্যাদার লড়াই।লড়াই অভিজিৎ সরকারের মায়ের চোখের জলের মর্যাদার লড়াই বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে মহিলাদের টাকা দেওয়া প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর উক্তি, “গত বছর লকডাউনের সময় দেশের ২০ কোটি মহিলাকে ৫০০ টাকা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর তৃণমূল নেত্রীর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে কতজন টাকা পায় আপনারাই দেখে নেবেন”।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে আগের সেফ জোন ছেড়ে কিছুটা সাহসী পদক্ষেপ নিয়েই নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এক সময়ের বিশ্বস্ত সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হলেও সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।
তবে মমতার হাত ধরেই রাজ্য জুড়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল। এখন নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে সরকার গঠনের ৬ মাসের মধ্যে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে তৃণমূল নেত্রীকে। তার জন্যই ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মমতা।
উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতা বলেন, ” নন্দীগ্রামে হারিয়েছি চিন্তা করবেন না ভবানীপুর ও হারাবো। নন্দীগ্রামে জাহাজ বাড়ির মালিক বলেছিলেন ৮০ হাজার ভোটে আপনাকে জিতাবে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন নন্দীগ্রামে কি অবস্থা হয়েছে। পায়ে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে কি কান্ড সবাই দেখেছে নন্দীগ্রামে।