শুভেন্দুর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে মানহানি মামলার হুশিয়ারী দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের মূখপত্র। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আদালতে মানহানি মামলার হুশিয়ারী দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মূখপত্র তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি তথা দুলাল দেবনাথ।
উল্লেখ্য শুক্রবার দলীয় কর্মসূচিতে জলপাইগুড়ি এসে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র দুলাল দেবনাথ, জেলা যুব সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি, শিক্ষক নেতা মোস্তাক হোসেন, এসটি., এসসি., ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস সহ একাধিক নেতৃত্বের নাম ধরে জনসমক্ষে কটাক্ষ্য করেন, তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন শুভেন্দুর বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মূখপত্র দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘এক পয়সার দুর্নীতি প্রমান করতে পারলে শুধু রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেব না, ওই নেতার জুতো কপালে নেবো’।
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছড়ে দিয়ে জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি বলেন, একটা দুর্নীতি জলপাইগুড়ি পৌরসভায় শুভেন্দু অধিকারী যদি দেখাতে পারেন সৈকত চ্যাটার্জির হাত দিয়ে হয়েছে তাহলে আমি রাজনৈতিক সন্যাস গ্রহন করবো, আর তা যদি তিনি করতে না পারেন তাহলে ইডি সিবিআই এর সামনে নিজেকে আত্মসমর্পণ করে বলতে হবে আমি সারদা, নারদার টাকা নিয়েছি। এছাড়াও জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি কটাক্ষ করে বলেন, শুভেন্দু অধিকারী এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ বলে নিজেকে যোগ্য মনে করছেন না তিনি এখন শুধু সৈকত চ্যাটার্জির প্রতিপক্ষে পরিনত হয়েছেন, এটা আমি উপলব্ধি করলাম।
এছাড়াও সৈকত বাবু বলেন, ইডি, সিবিআই দিয়ে বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ যিনি নষ্ট করছেন নাটের গুরুবাবা তিনি হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। অপর দিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করে এসটি., এসসি., ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস বলেন, আমরাও সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি আপনার টাকা নেওয়া, আপনার বিরুদ্ধেও ইডি, সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন, আমাদের দিদি বলেছিলেন আমার যদি অবৈধ সম্পত্তি থাকে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দিন, আমি অনুমতি দিলাম। সেরকম আপনার যদি হিম্মত থাকে, দম থাকে তাহলে আপনার অবৈধ সম্পত্তি, অবৈধ লেনদেন থাকে তা ইডি, সিবিআই তদন্ত করে বলুন।