রাজ্য – পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতিতে একবারে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘোষণার পর। মানবাধিকার কমিশন (Human Rights Commission) এবং লোকায়ুক্ত নির্বাচন কমিটির (Lokayukta Selection Committee) ১ ডিসেম্বরের দুইটি বৈঠকে তিনি অংশ নেবেন না বলে লিখিত নোটিশ পাঠিয়েছেন নবান্নে। বিরোধী দলনেতার যুক্তি, রাজ্যের শাসক দল এবং প্রশাসনের আচরণ ধারাবাহিকভাবে সংবিধানিক শিষ্টাচারকে অবমাননা করেছে, ফলে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকা মানে অসাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বৈধতা দেওয়া।
শুভেন্দু অধিকারী চিঠিতে জানিয়েছেন, তাঁর সাংবিধানিক দফতর ও আইন-নির্ধারিত নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই কাঠামো ভেঙে দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০২১ সালের ভোট-পরবর্তী হিংসা ও প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ এখনও মানুষের মনে তাজা। একটি কালীপুজো অনুষ্ঠানে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা এবং AI-ভিত্তিক বিকৃত অশ্লীল ছবি ছড়ানোর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন, যা নারীর মর্যাদার প্রতি আঘাত।
বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটনাচক্রে নয়, বরং পদ্ধতিগত। তাঁর ভাষায়, “যিনি বারবার এই কাঠামো ভেঙেছেন, তাঁর সভাপতিত্বে মানবাধিকার বা দুর্নীতি-নিরোধ নিয়ে সত্যিকারের আলোচনা অসম্ভব।”
শুভেন্দু স্পষ্ট করেছেন, ১ ডিসেম্বরের দুই বৈঠকেই তিনি উপস্থিত থাকবেন না। তবে বৈঠকের অন্য সদস্যরা চাইলে তাদের মতো করে প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবেন। কমিটি প্রস্তাবিত নিয়োগের তালিকা চূড়ান্ত করলে তিনি তা পর্যালোচনা করে মন্তব্য পাঠাবেন।




















