শুরু হল উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী চেকেন্দা ভান্ডানী পুজো ও মেলা। করোনার অতিমারী কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তী ব্লকের ঐতিহ্যবাহী চেকেন্দা ভান্ডানী পুজোর আয়োজন করা হয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী মেলার শুভ সূচনা হলো বুধবার। উল্লেখ্য মেলাকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বহু মানুষের সমাগম হয়, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ উপস্থিত হয় এই মেলা প্রাঙ্গনে, তাই এটা একটি মিলন মেলাও বলা যেতে পারে।
দূর দুরন্ত থেকে অনেকেই আসে এই মেলা দেখতে। ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালনায় ও ক্রান্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় এই পুজো ও মেলার আয়োজন করা হয়। এদিন মেলার ফিতে কেটে উদ্বোধন করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বুলু চিক বারাইক এবং জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন।
আরও পড়ুন- পেনশন না পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন পেনশন প্রাপকরা
উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে জানা গেছে এবারের এই পুজো ৮৪ তম বর্ষে পদার্পণ করল। গত ৯ই অক্টোবর ঘট পূজা এবং ১০ই অক্টোবর ধনের ঠাকুর ভান্ডারী ঠাকুরের পূজা হয় এবং বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলার শুভ সূচনা করা হয়। এদিন বিশিষ্ট অতিথিদের পাশাপাশি শুভ সূচনায় উপস্তিত ছিলেন পদ্মশ্রী করিমুল হক, ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায়, সমাজসেবী মহাদেব রায় সহ সকল সদস্য ও সদস্যারা। প্রতিদিন মেলায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় উদ্দ্যোগতাদের পক্ষে।
মেলায় নাগরদোলা, ড্রাগন ট্রেন, সার্কাস, ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নানা রকমের দোকানপাট বসেছে। বৃষ্টির জন্য মাঠে কিছু কিছু জায়গায় জল জমে থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে থেকে বালু ছিটিয়ে মাঠের চলাচলের উপযোগী করা হয়। এদিন ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায় বলেন, এই মেলাকে ঘিরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা থাকে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এই মেলা এবং পুজো দিতে এখানে আসেন। সব ধর্মের সব জাতীর মানুষ আসে। এক কথায় এই মেলা এক মিলন মেলায় পরিনত হয়। শুরু হল