বীরভূম – আজ থেকে প্রায় পঁচিশ বছর আগে অর্থাৎ ২০০১ সালে বীরভূমের লাভপুর আদিবাসীপাড়া লাঘাটার একজন আদিবাসী মহিলার স্মৃতি বিভ্রাট হয়ে যায়। তখন তার স্বামী ও দুই পুত্র আছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। দীর্ঘ ২৫ বছর তার কোন খবরা খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার রাজস্থান রাজ্যের ভরতপুর জেলার আপনা ঘর আশ্রম নামক হোম থেকে যোগাযোগ আসে যে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে এক আদিবাসী মহিলা যার নাম রূপালী হেমব্রম মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় তাদের আশ্রয়ে আছে এবং হঠাৎ করে গতকাল উক্ত আদিবাসী মহিলার স্মৃতি ফিরে আসে। সে বলতে থাকে তার বাড়ি লাঘাটা লাভপুর। আশ্রম কর্তৃপক্ষ রাজস্থান থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সোনালী হিন্দু হোটেলে যোগাযোগ করেন। লাঘাটা আদিবাসী পাড়ায় খবর পৌঁছয় এবং আদিবাসী পাড়ার মানুষদের সাথে মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে উক্ত মহিলার সাথে সাক্ষাৎ হয় এবং তারা উভয় উভয়কে চিনতে পারে। খবর যাই লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিনহার কাছে।খবর পাওয়ার সাথে সাথে বিধায়ক ব্লক প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আজ বুধবার বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা ওই আদিবাসী মহিলার বড় ছেলে ষষ্ঠী হেমব্রম ও তৃণমূল লাভপুর আদিবাসী সেলের সভাপতি নারু মুরমুকে নিয়ে রাজস্থান রওনা হলেন আদিবাসী মহিলাকে তার নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য। লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা কে পাশে পেয়ে খুশি আদিবাসী পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায় এতদিন ধরে মাকে খুঁজে না পাওয়াই মায়ের শ্রাদ্ধ করে দেয় তার ছেলেরা। বিধায়কের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বহু বিশিষ্টজনেরা।
