হুগলি – হুগলির শ্রীরামপুরের বেনিয়াপাড়ায় ৮০ বছরের পুরোনো এক ঐতিহ্যবাহী বারোয়ারি পুজোর উদ্বোধন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার সন্ধ্যায় রাজভবন থেকে সরাসরি এসে উপস্থিত হন তিনি।
পুজো কমিটির আমন্ত্রণে রাজ্যপালের এই সফরকে ঘিরে এলাকাজুড়ে ছিল ব্যাপক উচ্ছ্বাস। তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য স্থানীয়দের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে তিনি ফিতে কেটে এবং প্রদীপ প্রজ্বালন করে পুজোর সূচনা করেন। ঐতিহ্যবাহী এই মুহূর্তে চারদিকে উৎসবের আবহ ছড়িয়ে পড়ে।
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে একটি নটরাজের মূর্তি উপহার দিয়ে সম্বর্ধনা জানানো হয়। উদ্যোক্তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় তিনি আপ্লুত হন।
উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, “দুর্গোৎসবের এই শুভ সময়ে আমি মানুষের মঙ্গল কামনা করি। আশা করি, সবাই ভালো থাকবেন।”
তাঁর এই বার্তা উৎসবে উপস্থিত সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া জাগায়। অনেকেই বলেন, উৎসবের দিনে এটি এক মহৎ বার্তা।
রাজ্যপালের আগমনকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও আলোড়ন তৈরি হয়েছে। বিশেষত, স্থানীয় বিজেপি নেতা কবীরশঙ্কর বসুর উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
কবীরশঙ্কর বসু রাজ্যপালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “সকলের জীবন যাতে মঙ্গলময় হয়, সেই বার্তাই তিনি দিলেন।”
পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই ঐতিহ্যবাহী পুজোর উদ্বোধনে রাজ্যপালের উপস্থিতি তাঁদের জন্য এক বিশেষ সম্মান।
অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল কিছুটা সময় কাটিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং মণ্ডপের শিল্পকলা ঘুরে দেখেন।
এরপর তিনি রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তবে তাঁর এই সফর স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন শ্রীরামপুরবাসী।
উল্লেখযোগ্য, এর আগে রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও শ্রীরামপুরে এসেছিলেন। ফলে এ যেন এক ধারাবাহিক ঐতিহ্যের অংশ।
রাজ্যপালের সফর শুধু সাংস্কৃতিক আবহ নয়, রাজনৈতিক মহলেও নানা জল্পনার জন্ম দিয়েছে।
উৎসবপ্রিয় শ্রীরামপুরবাসী বলছেন, রাজ্যপালের উপস্থিতি এই পুজোর মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করেছে।
