বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫১ লাখ ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২৫ কোটি ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৮ জন।বুধবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ১১২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২ হাজার।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জন। আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৪ হাজারের বেশি। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুর দিক দিয়ে এরপরই রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন-তুরস্ক-জার্মানি-পোল্যান্ড।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্ব করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৫৯ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ২৫০ জন। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৪০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৮১৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৮৫ জন এবং মারা গেছেন ২৯৯ জন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৯১৮ জন।
আর ও পড়ুন দক্ষিণবঙ্গে ধীরে ধীরে ফিরছে শীতের আমেজ
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪০১ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫২ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে ১৩৪ জন, তুরস্কে ২২৭ জন, ইউক্রেনে ৮৩৮ জন এবং পোল্যান্ডে ২৮২ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৫৭ জন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।