সংশোধনারে মৃত্যু যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত বন্দীর, আঙ্গুল উঠছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের দিকে

সংশোধনারে মৃত্যু যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত বন্দীর, আঙ্গুল উঠছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের দিকে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

সংশোধনারে মৃত্যু যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত বন্দীর, আঙ্গুল উঠছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের দিকে। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত এক বন্দীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো। মৃত ব্যাক্তির নাম জাকির হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ওই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। এদিকে মৃত বন্দীর পরিবারের অভিযোগ গত ১৪ জাকির কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ তার মৃত্যু হয়েছে এর কোনটাই সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে জানান হয়নি।

 

আজ সংশোধনাগারে ফোন করা হলে তখন বলা হয় হাসপাতালে ভর্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয় তারা জানতে পেরেছেন ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে এই ঘটনা। সংশোধনাগারের ভেতরে এতো ঘুমের ওষুধ কোথায় পেলো, এটানিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙ্গুল তুলেছে জাকির হোসেনের পরিবার।

 

জানাগেছে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার ১০৮ ছোটো কুচলি বাড়ি বাসিন্দা মহহ্মদ হুসেন জাকিরের ছেলে জাকির হোসেন। গত ২০২০ সালের অক্টবর মাসে পক্সো মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে জাকির কে। এর পরে ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মেখলিগঞ্জ সেশন কোর্ট জাকির কে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা শোনায়। এর পর থেকেই জাকির জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছে। এদিন বিকেলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জাকিরের দাদা হৃদয় হোসেন বলেন চলতি মাসের ৬ তারিখ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয়েছিল।

আরও পড়ুন – সারমেয়দের ভ্যাকসিন দিলেন অ্যানিম্যাল হেল্পলাইন

সমস্ত কথা হয়েছে। ও ভালই ছিল। আজ সকালে আবারও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলার জন্য আবেদন করলে তার কোন উত্তর দেওয়া হয়নি। এর পরে দুপুর নাগাদ সংসোশনাগারে ফোন করলে বলা হয় ভাই অসুস্থ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হৃদয় হোসেন জানান, খবর পাওয়ায় পরেই বাবা, মা, বোন বিকেলে হাসপাতালে আসে। তখনই হাসপাতাল থেকে মৃত্যু সংবাদ পায় তারা। শুধু তাই নয় অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল জানিয়েছে। কিন্তু এতো কিছু হয়ে যাবার পরেও পরিবার কে কেন জানান হলো না সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হৃদয় হোসেন।

 

জাকির হোসেনের বাবা মহহ্মদ জাকির হুসেন বলেন কেন আমরা জানতে পারলাম না, ছেলে কে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো? কেন মৃত্যুর খবর জানান হলো না? এই পুরো ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ করা হবে। তাছাড়া সংশোধনাগারের ভেতরে কিভাবে এতো ঘুমের ওষুধ কোথা থেকে এলো তানিয়েও তদন্তের আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি। এদিকে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার সৌমিক সরকার টেলিফোনে বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন। তবে ঘটনার কথা শুনেছেন, কাজে যোগ দিয়ে দপ্তরের নিয়োম অনুসারে তদন্ত করা হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top