অবশেষে কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কোভ্যাক্সিন কোভিড ঠেকাতে পারে এত দিন মানতে চাইছিল না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। অবশেষে তা মেনে নিল। নিজেদের এমার্জেন্সি ইউস লিস্টিং (ইইউএল)–এ স্থান দিল ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকাকে।
এর ফলে যেসব ভারতীয় কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন, তাঁদের বিদেশে গিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। বাধার সম্মুখীনও হতে হবে না। অনায়াসেই সফর, চাকরি করতে বা পড়তে যেতে পারবেন বিদেশে। চলতি বছর এপ্রিলে প্রথমবার হু–র ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছিল ভারত বায়োটেক। এর পর জুলাইতে টিকা এবং তার ট্রায়াল সংক্রান্ত সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা করে সংস্থা।
টিকার সুরক্ষা, কার্যকারিতা, স্থায়ীত্ব নিয়েও যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এর পরেও ছাড়পত্র দেয়নি হু। তাতেই চাপে পড়ে যান কোভ্যাক্সিন নেওয়া বহু ভারতীয়। যদিও ভারতীয়দের স্বস্তি দিয়ে কোভ্যাক্সিনকে মান্যতা দেয় অস্ট্রেলিয়া। জানিয়ে দেয়, এই টিকা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। এর পর জি–২০ সম্মেলনে গিয়েও কোভ্যাক্সিনের হয়ে জোর সওয়াল করেন মোদি। বলেন, এই টিকাকে স্বীকৃতি দিলে বাকি বহু দেশকে তা সরবরাহ করতে পারবে ভারত। এর পরেই এল স্বীকৃতি।
আর ও পড়ুন আগামী মাসেই চালু হতে পারে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন
এর আগে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার ‘হু’–র বিশেষজ্ঞ কমিটি টিকা ব্যবহারের ঝুঁকি এবং সাফল্য সংক্রান্ত নানা তথ্য এবং নথি পরীক্ষা করেন। সূত্রের খবর, কোভ্যাক্সিন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর বিশ্লেষণের পরে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করার ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত ভাবে সম্মত হন বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি যাচাই না করা পর্যন্ত কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে।
এর পর টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ আরও কিছু তথ্য চায় ভারত বায়োটেক সংস্থার কাছে। এই গোষ্ঠী স্বাধীনভাবে কাজ করে। তাদের পরামর্শ মেনে তথ্য দেয় ভারত বায়োটেক। তখনই হু–র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস জানিয়ে দিয়েছিলেন, কমিটি ভারত বায়োটেকের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হলে তাঁদের ছাড়পত্র দিতে আপত্তি নেই। পরের ২৪ ঘণ্টাতেই পাওয়া যাবে ছাড়পত্র। সেইমতো মিললো ছাড়পত্র।
উল্লেখ্য, অবশেষে কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কোভ্যাক্সিন কোভিড ঠেকাতে পারে এত দিন মানতে চাইছিল না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। অবশেষে তা মেনে নিল। নিজেদের এমার্জেন্সি ইউস লিস্টিং (ইইউএল)–এ স্থান দিল ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকাকে। এর ফলে যেসব ভারতীয় কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন, তাঁদের বিদেশে গিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।
বাধার সম্মুখীনও হতে হবে না। অনায়াসেই সফর, চাকরি করতে বা পড়তে যেতে পারবেন বিদেশে। চলতি বছর এপ্রিলে প্রথমবার হু–র ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছিল ভারত বায়োটেক। এর পর জুলাইতে টিকা এবং তার ট্রায়াল সংক্রান্ত সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা করে সংস্থা।