বাড়ির কাজের লোকের সঙ্গে বিয়ে ধনীকন্যার। ঘটনাটি আমাদের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের। তবে পাত্র পরিচারক আর পাত্রি বাড়ির এ বিয়ে হয়। পাকিস্তানে অ্যানি নামের এক মহিলা বাড়ির ভৃত্য ইসায়াকে হৃদয় দিয়েছিলেন, তারপর পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে দুজনেই বিয়ে করেন। পাকিস্তানি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এই দম্পতির প্রেমের গল্প ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে।
রান্না করার সময় ইসায়াকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন অ্যানি। অ্যানি পাকিস্তানের ডিএইচএ (ডিফেন্স হাউজিং অথরিটি) তে থাকেন। একটি ইউটিউব ভিডিওতে, অ্যানি বলেছেন যে তার বাড়িতে সেই সময় বিয়ের কথা চলছিল। কিন্তু যে ছেলের সঙ্গে বিয়ের কথা চলছিল, অ্যানির দাবি সে তাদের সম্পত্তি দখল করতে চেয়েছিল। অ্যানি তার বাবা-মাকে সেই ছেলেটির বিষয়ে বুঝিয়েছিল।
অ্যানি বলেছিলেন যে তিনি এমন একটি ছেলেকে বিয়ে করতে চান যে তাকে ভালবাসে। অর্থের প্রেমে পড়া এমন কারো সাথে সে তার জীবন কাটাতে চান না। অ্যানির কথাটা তার বাবা-মা বুঝতে পেরেছিলেন।অ্যানি কীভাবে ভৃত্যকে প্রস্তাব দিল? অ্যানি জানান, ইসায়াকে তার বাবা বাড়িতে চাকর হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন। ধীরে ধীরে তাঁর (ইসায়া) সাথে আমার কথোপকথন শুরু হয়। তিনি যখন রবিবার রান্না করতেন, ইসায়া তাকে সাহায্য করত। দুটো রবিবারের পরে, অ্যানি ইসায়াকে প্রস্তাব দেয় এবং বলে যে সে তাকে পছন্দ করে।
আরও পড়ুন – কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে বন্ধুদেশের উল্টো মন্তব্য
ভৃত্য ইসায়া যখন জানতে পারলেন যে অ্যানির বাবা রাজি হয়েছেন, তিনি নিজেও অবাক হয়েছিলেন। তিনি ভাবলেন, এমন মানুষও আছে ? তার বিশ্বাস না হলে তিনি অ্যানিকে জিজ্ঞেস করেন এটা কীভাবে হলো, অ্যানি জানান, এটা হয়েছে। পরে দুজনেই খ্রিস্টান রীতি অনুযায়ী একে অপরকে বিয়ে করেন। ইসায়ার সাথে সাক্ষাত্কারের সময়, অ্যানি ‘ তুম জো আয়ে জিন্দগি মে বাত বান গেই …’ গানটি উত্সর্গ করেছিলেন।
ভালোবাসার টাকাকে দেখা উচিত নয়’ ইসায়া বলেন, ভালোবাসার সময় টাকাকে দেখা উচিত নয়, অনেকে গরীবদের দিকে তাকিয়ে বলে যে এরা আমাদের জুতোর যোগ্য নয়। তিনি অ্যানির বাবার প্রচণ্ড প্রশংসা করেন। বলেন-অ্যানির বাবা এমন না।একই সঙ্গে অ্যানি বলেন, বিয়ে করার সময় ধনী-দারিদ্র্য না দেখে দেখা উচিত সামনের মানুষটি আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছেন কি না? তিনি আপনাকে সম্মান করতে জানেন কিনা। গরিব-ধনী দেখে বিয়ে করা উচিত নয়।