ছোটবেলায় গোপনে সত্যজিৎ রায়কে এক মস্ত চিঠি লিখেছিলেন বিদ্যা বালান। সত্যজিৎ রায়ের ‘মহানগর’ দেখে পরিচালকের উদ্দেশে এক মস্ত চিঠি লিখেছিলেন ছোট বিদ্যা বালান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা একথা জানান। এক সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা জানান, সত্যজিৎ রায়ের ‘মহানগর’ দেখে এতো ভালো লেগেছিল, খাতা কলম নিয়ে বসে গিয়েছিলেন ছোট্ট বেলায়। পরিচালককে লিখে ফেলেছিলেন মস্ত এক চিঠি।
কিন্তু ডাকঘর পর্যন্ত সেই চিঠি যেতে পারেননি কোনো দিন। সেই আক্ষেপ বিদ্যার আজও রয়ে গিয়েছে। তারপরে একদিন জানতে পারেন, প্রয়াত হয়েছেন তার প্রিয় পরিচালক। খুব কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি। সেই ছোটবেলাতেই যন্ত্রণা অনুভব করেছিলেন। আজ যখন তিনি প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, তখন যেন সেই কষ্টটা আরও বেড়ে যায়। বিদ্যা বলেন, ‘ইশ, যদি আজ বেঁচে থাকতেন, সত্যজিৎ রায়ের সব ছবিতে অভিনয় করতে পারতাম!’
আরও পড়ুন – তৃনমূল হিন্দু বিরোধী দল,সে কারনে হিন্দুদের কোন ধর্মীয় মিছিলে তারা অংশ গ্রহন করে না, রাজু বিস্ট
সম্প্রতি নায়িকা তার সত্যজিৎ-প্রীতির কথা বলেন এক সাক্ষাৎকারে। বিদ্যার কথায়, ‘‘অনেকেই ‘চারুলতা’ এবং ‘পথের পাঁচালী’ নিয়ে মাতামাতি করেন। তবে আমার সব থেকে বেশি পছন্দ ‘মহানগর’। সেই ছবি যে আমার ভিতরটা কী ভাবে ওলটপালট করে দিয়েছিল, কী ভাবে বোঝাব!’’ বিদ্যা জানান, চিরকালই বাংলা ছবি তাকে মুগ্ধ করে। বাংলা ছবি দেখেই বড় হয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রথম বড় পর্দায় পা রাখা বাংলা ছবির দৌলতেই। ‘ভালে থেকো’-তে অভিনয় করেছিলেন অবাঙালি বিদ্যা। ২০০৩ সালে সেই ছবি পরিচালনা করেছিলেন গৌতম হালদার। বিদ্যা বললেন,অনেকে বলেন- আমাকে নাকি পাশ থেকে মাধবী মুখোপাধ্যায়ের মতো দেখতে। খুব গর্ববোধ করি এই কথাটি শুনে। বিদ্যার ঘরে সত্যজিতের সমস্ত ছবির চরিত্রদের নিয়ে একটি ছবি আঁকা রয়েছে। ছবির পোস্টারে ভর্তি হয়ে গিয়েছে দেয়াল। কিন্তু সেই পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে না পারার আক্ষেপ আজও হয় তার। সত্যজিৎ রায়কে